স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবারের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৯৪ জন৷ আহতের সংখ্যা ৭৪৭৷ গুরুতর আহত ৫৬ জন৷ মোট হতাহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজারের উপরে৷ মোট হতাহতের সংখ্যা ১০৯১ জন৷ এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের৷
সূত্রের খবর, ২৮৮ জনের মধ্যে ৩১ জন বাঙালি বলে শনাক্ত করা গিয়েছে৷ জানা গিয়েছে তাঁদের পরিচয়ও৷ এদিন দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ওড়িশা পুলিশের ডিজি (দমকল) বললেন, ‘‘আমরা দুঃখিত, এত মৃতদেহ একসঙ্গে দেখার অভিজ্ঞতা তো ছিল না৷ আমরা চেষ্টা করছি..’’৷
ওড়িশার ডিজি (দমকল) সুধাংশু সারঙ্গি জানান, রেল ট্র্যাক থেকে ট্রেনের কামরাগুলি সরানোর জন্য একটি ক্রেন আনা হয়েছে৷ সব কিছু ঠিকঠাক চললে আজ রাতের মধ্যেই সব কিছু সরিয়ে ফেলা হবে৷
ডিজি জানান, এর আগেও রেলের কামরাগুলি তোলার জন্য ২-৩টে ক্রেন আনা হয়েছিল৷ কিন্তু, সেগুলি দিয়ে বগিগুলি সরানো যায়নি৷ তারপরে আরও একটি ক্রেন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
এই ক্রেন দিয়ে বগিগুলি তুলে দেখা হবে, সেখানে কেউ আটকে রয়েছেন কি না৷ কিন্তু একথা বলার পরেই সুধাংশুর মন্তব্য, ‘‘আমাদের মনে হয় না ওই বগিগুলির নীচে কেউ বেঁচে আছে বলে৷’’
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি মালগাড়িও। ওড়িশার বালেশ্বর এখন মৃত্যুপুরী। রেল দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ, আহতদের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে।
