কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, সরকারি আপার প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রী ক্লাস ২-এর ওই শিশুর নাম জ্যোছনা দেউরি। বৃহস্পতিবার স্কুলকর্মীরা বিকেল চারটে নাগাদ স্কুল বন্ধ করার সময় লক্ষ্য করেননি ওই খুদে পড়ুয়া তখনও স্কুলেই রয়েছে। কর্মীরা স্কুল বন্ধ করে চলে যান।
অন্যদিকে, রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না আসায় মেয়েকে খুঁজতে শুরু করেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু, তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
advertisement
স্কুল থেকে বেরোতে না পেরে শেষ চেষ্টা হিসাবে গ্রিলের মধ্যে দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করে ওই খুদে পড়ুয়া। নিজের মাথা গ্রিলের মধ্যে দিয়ে গলিয়ে দেয় সে। আর এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। মাথা গ্রিলের মাঝে আটকে যায়। গোটা রাত ওইভাবেই আটকে থাকে ওই শিশুকন্যা।
পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ স্কুলের রাঁধুনি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি দেখতে পান। এরপরে গ্রামবাসী এবং পরিবারদের সাহায্যে লোহার ওই গ্রিল বেঁকিয়ে উদ্ধার করা হয় জ্যোছনাকে।
এরপরেই তাঁকে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাঁকে আপাতভাবে সুস্থ ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে জেলা কর্তৃপক্ষ ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক গৌরাঙ্গ মহন্তকে সাসপেন্ড করেছে।