প্রসঙ্গত, গতকালই দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘দেশবাসীর উচিত এই নোটের স্তূপের দিকে নজর দেওয়া এবং তারপরে তাঁদের নেতাদের সৎ ‘বক্তৃতা’ শোনা… জনগণের কাছ থেকে যা লুট করা হয়েছে, প্রতিটি পয়সা ফেরত দিতে হবে, এটা মোদির গ্যারান্টি৷’ মোদির এই পোস্টের পরেই আয়কর হানার তৎরপরতা আরও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
advertisement
সূত্রের খবর, বর্তমানে তিনটি জায়গার ৭টি ঘরে খানা তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর৷ জায়গাগুলির লোকেশন গোপন রাখা হয়েছে৷ কাপবোর্ডের পিছনে লুকিয়ে, আসবাবপত্রের ভিতরে থরে থরে সাজানো ছিল টাকা৷ আয়কর দফতরের তরফে ৩৬টা কাউন্টিং মেশিন আনা হয়েছে। সেগুলি দিয়েই টাকা গোনার কাজ চলছে৷ মেশিনও দ্রুততার সঙ্গে এত টাকা গুনে উঠতে পারছে না৷ তাই সময় লেগে যাচ্ছে৷
এছাড়াও, কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে তিন ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয়েছে। মদ কারখানার এক শীর্ষ কর্তা বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে টাকাভর্তি প্রায় ১৯টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর। বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর।
বৌধ ডিস্টিলারির বিভিন্ন সংস্থা এবং এই সংস্থারই রাইস মিলে এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷ এই সংস্থার সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়কর আধিকারিকেরা৷ এই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন কংগ্রেস সাংসদের ছেলে রীতেশ সাহু৷ দাদা উদয় শঙ্কর প্রসাদ সংস্থার চেয়ারম্যান৷ ধীরজ সাহুর রাঁচীর বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা৷
এক আয়কর আধিকারিক জানান, ‘‘এই কোম্পানির ২০১৯ এবং ২০২১ সালের নথিপত্র দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়েছিল৷ ক্রমাগত, কম লাভ দেখানো হয়েছিল সংস্থার তরফে৷ ব্যালান্স শিটেও গরমিল ছিল৷ সেই কারণেই আয়কর হানার সিদ্ধান্ত৷’’ তিনি জানান, এই তল্লাশি শনিবারও চলবে এবং শুধু ৩০০ কোটি নয়, উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক আরও বাড়বে বলে অনুমান আধিকারিকদের৷