গত দু’সপ্তাহ আগে পুরীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৫ বছরের এক কিশোরীর। গত ১৯ জুলাইতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় প্রায় দুই সপ্তাহ বাদে দিল্লির এইমসে মৃত্যু হল ওই কিশোরীর। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শোকপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।
এই প্রসঙ্গে তিনি সমাজ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বালাঙ্গা জেলার এই ঘটনা সত্যি হৃদয়বিদারক। ডাক্তার থেকে মেডিক্যাল স্টাফ সকলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।”
advertisement
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই অভিযোগ ওঠে কিছু অপরিচিত ব্যক্তি ওই কিশোরীর গায়ে আগুন দিয়ে দেয়। এই ঘটনায় দেহের প্রায় ৭৫% পুড়ে যায় ওই কিশোরীর। এরপরেই তাঁকে তড়িঘড়ি দিল্লির এইএমসে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
মেয়ে হারিয়ে তাঁর বাবা বলেন, “আমি কারোর দিকে আঙুল তুলতে চাই না। ধর্ম,বর্ণ,জাত-পাত নির্বিশেষে আমার মেয়ের আত্মার শান্তি কামনা করুন। আমি কারোর উপর অভিমান করিনি। আমি অনুরোধ করছি আমাকে আর আমার পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখুন। যতক্ষণ বাড়ি ছিল সে ঠিক ছিল। তারপর হঠাৎ করেই যে কী হয়ে গেল।”
আরও পড়ুন: মন্দিরে যাওয়ার পথে হঠাৎ বিকট শব্দ, সব শেষ! উত্তরপ্রদেশে মৃত্যুমিছিল! অন্তত ১১ জনের মৃত্যু
অন্যদিকে, পুলিশে প্রথমে তাঁর মা অভিযোগ করেন তাঁর মেয়েকে কিছু অপরিচিত লোক অপহরণ করে। এরপরেই তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, পুলিশ তদন্ত এগোতেই নতুন মোড় ঘুরতে থাকে এই ঘটনায়।
ওড়িশা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তদন্তের শেষ এবং অন্তিম পর্যায়ে তাঁরা এসেছে। এই পর্যায়ে এখনও পর্যন্ত কারোর যোগ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আর কত প্রমাণ চাই? পহেলগাঁওতে হামলা করা তাহির খতম! পাকিস্তান যা করল, ঘেন্না হবে
এই প্রসঙ্গে ওড়িশা পুলিশের পক্ষ থেকে সমাজমাধ্যম এক্সে জানানো হয়, “বালাঙ্গা জেলাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে কিশোরীর মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। তদন্তের শেষ পর্যায়ে এসে আমরা উপস্থিত হয়েছি। এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যক্তির যোগ পাওয়া যায়নি। তাই আমরা অনুরোধ করছি কোনও ধরনের ভুয়ো খবর ছড়াবেন না।”