পুলিশ সূত্রে খবর, ৪০ বছর বয়সি ওই অভিযুক্ত যুবকের নাম দেবাশিস পাত্র৷ সে একটি ওষুধের দোকানের কর্মী৷ পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে গত ১৯ জুলাই নিজের ২৩ বছর বয়সি স্ত্রী সোনালি দলাই এবং শাশুড়ি সুমতি দলাইকে খুন করে দেবাশিস৷
জানা গিয়েছে, সোনালি দেবাশিসের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন৷ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় পাথর দিয়ে নিজের স্ত্রী এবং শাশুড়ির মাথা থেঁতলে খুন করে দেবাশিস৷
advertisement
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই ওই দম্পতির মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছিল৷ ফলে বাপের বাড়ি চলে যান সোনালি৷ সেই কলহ মেটাতেই মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে দিতে নিয়ে এসেছিলেন দেবাশিসের শাশুড়ি৷ কিন্তু সেই বিবাদ তো মেটেইনি, উল্টে তার পরিণতি হল ভয়ঙ্কর৷
খুনের পর প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেই দেহ দুটি বাড়ির পিছনের বাগানে নিয়ে গিয়ে মাটির নীচে পুঁতে দেয় দেবাশিস৷ এর পর সেই জায়গায় কলা গাছ পুঁতে দেয় সে৷ পুলিশ এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে বিভ্রান্ত করতে থানায় স্ত্রী এবং শাশুড়ি নিখোঁজ বলে অভিযোগও জানায় সে৷ দেবাশিস দাবি করে, তাদের সন্তানকে পৌঁছে দিয়ে তার স্ত্রী এবং শাশুড়ি গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে৷
এর পর নিজের ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতেই নির্লিপ্ত ভাবে থাকতে শুরু করে দেবাশিস৷ কিন্তু বাড়ির বাগানে মাটি খোঁড়াখুড়ির চিহ্ন এবং নতন কলাগাছের চারা পোঁতা হয়েছে দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের৷ খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেবাশিসকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশের প্রশ্নের মুখে অপরাধ স্বীকার করে নেয় দেবাশিস৷ দেহ দুটি মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ৷ দেবাশিসকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ৷