১. ২০২০ সালের মার্চ মাসের ঘটনা। বেঙ্গালুরুর এক রেস্তোরাঁ-কর্মী তুমুল মারধর করেছিলেন এক Zomato-র ডেলিভারি ম্যানকে। ২৫ বছরের ওই যুবকের রেস্তোরাঁয় খাবার নিতে পৌঁছতে একটু দেরি হয়েছিল। তার জেরে চা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ায় মার খেতে হয় তাকে। ঘটনায় শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন যুবক।
২. ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে বেঙ্গালুরুর এক মহিলা অভিযোগ তোলেন যে Swiggy-র ডেলিভারির ম্যান তাঁর কাছ থেকে যৌন সুবিধা আদায় করতে চেয়েছেন। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ মারফত ক্ষমা চেয়ে এবং মহিলাকে ২০০ টাকার গিফ্ট ক্যুপন ধরিয়ে ব্যাপারটা ধামাচাপা দেয় সংস্থা।
advertisement
৩. ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন্নাইয়ের বালমুরুগন নামে এক ব্যক্তি খাবারের প্যাকেটে রক্তে মাখামাখি একটা ব্যান্ড-এইড পেয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগের পরে সংশ্লিষ্ট দোকানকে নিজেদের তালিকা থেকে সরাতে বাধ্য হয় Swiggy।
৪. ২০১৮ সালের অগস্টে নয়াদিল্লির এক মহিলা অভিযোগ করেন যে তাঁর খাবারে একটা মরা মাছি পড়ে আছে। বিষয়টা ভালো করে না শুনেই Zomato কাস্টমার কেয়ার বলে, তারা এক্সট্রা টপিংস অ্যাড করতে বলেছিল তবে রেস্তোরাঁ কী পাঠিয়েছে সে বিষয়ে অবগত নয়!
৫. ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মাদুরাইয়ে এক Zomato-র এক ডেলিভারি ম্যানের চাকরি গিয়েছিল। তিনি খদ্দেরের অর্ডার দেওয়া খাবার কিছুটা চেখে দেখেছেন, এটা প্রমাণ হয়ে যায়।
৬. ২০১৭ সালের জুন মাসে এক প্রাইভেট ফার্মের এইচআর ম্যানেজারের হাতে হেনস্তা হতে হয় Swiggy-র ডেলিভারি ম্যানকে। দোষের মধ্যে তাঁর খাবার নিয়ে পৌঁছতে সামান্য দেরি হয়েছিল।
৭. ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন্নাইয়ের এক খদ্দের Swiggy-র ডেলিভারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি স্থানীয় এক দোকান থেকে খাবার অর্ডার করলেও তা সংস্থা রাজস্থানের এক ঠিকানায় পাঠিয়েছিল।
৮. ২০২০ সালের অক্টোবরে Google এই দুই ডেলিভারি অ্যাপের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই সময়ে IPL-এর খেলা চলছিল। সংস্থার দোষ ছিল এই যে তারা অনুমানের উপরে ভিত্তি করে, Play Store-এর নিয়ম ভেঙে ডিসকাউন্ট অফার করছিল।
৯. ২০২০ সালের জুনে কলকাতায় একদল জনতা Zomato-র ডেলিভারি ম্যানকে মারধর করে। সেই সময়ে চিনের লাদাখ আক্রমণ নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল দেশ, অভিযোগ সংস্থার নেপথ্যে চিনা বিনিয়োগ আছে।
১০. সব শেষে কাঠগড়ায় তুলতে হয় সংস্থার নীতিকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার তাড়ায় আকছার দুর্ঘটনার মুখে পড়্ন Zomato, Swiggy-র ডেলিভারি ম্যানরা। কিন্তু সংস্থা যে তাতে পাত্তা দেয় না, তা বলাই বাহুল্য!