২৯ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে গুয়াহাটির মালিগাঁওয়ে অবস্থিত পাণ্ডু মেশিন সাইডিংয়ে এই উদ্ভাবনী পদ্ধতির সফল পরীক্ষা চালানো হয়, যা রেলওয়ে ট্র্যাকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সময় অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে এই জোনের যে প্রচেষ্টা তার এক উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ভারতীয় রেলওয়েতে ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণ সাধারণত ট্র্যাকের মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে করা হয়, যা ট্র্যাকের দক্ষ ও নিখুঁত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করার দ্বারা রেলওয়ে সুরক্ষা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
advertisement
বর্তমানে ভারতীয় রেলওয়েতে ১৬৮৪টি ট্র্যাক মেশিন দিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং আরও ৩০১টি মেশিন সরবরাহ প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই মেশিনগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যালাস্ট ক্লিনিং মেশিন, টেম্পিং মেশিন, ডাইনামিক ট্র্যাক স্ট্যাবিলাইজার্স, মাক ডিসপোজাল ইউনিট এবং আরও অন্যান্য। ভারতীয় রেলওয়ের ট্র্যাক মেশিনের বৃহৎ সরবরাহকারী প্লাজার ইন্ডিয়া ভারতীয় ও বিশ্ববাজারের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে গুজরাটের কার্জানে একটি নতুন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর “মেক ইন ইন্ডিয়া’’ এবং ‘‘আত্মনির্ভর ভারত’’-এর মতো অভিলাষী পদক্ষেপের সাথে সংগতি রেখে প্লাজার ইন্ডিয়া শুধমাত্র ঘরোয়া উৎপাদনে স্বদেশি উপাদান বৃদ্ধি করেনি, বরং তার পাশাপাশি ইউএসএ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও রপ্তানি শুরু করে।
পয়েন্ট্স ও ক্রসিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রোড মেশিনারির ব্যবহারের উদ্ভাবনী পদ্ধতিটি ট্র্যাক মেশিনের বল বৃদ্ধি হিসেবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নিখুঁত পরিকল্পনা ও লজিস্টিক প্রত্যাহ্বানগুলি অতিক্রম করার প্রতি মনোনিবেশ করে এই পদ্ধতিটি ব্যালাস্ট কুশন বৃদ্ধি ও ট্র্যাকের স্থিতিশীলতা উন্নত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ফল দিয়েছে।
রোড মেশিনারির সহজ উপলব্ধতা এবং সহজগম্য নয় এমন স্থানগুলিতে সহজে নিয়োজন করার ক্ষমতার জন্য এই পদ্ধতিটি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অধীনে থাকা প্রত্যন্ত ও দূর-দূরান্ত স্থানগুলিতে বিস্তৃত বৃহৎ সংখ্যক পয়েন্ট্স ও ক্রসিংয়ের দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ট্র্যাক মেশিনগুলিকে আরও বৃদ্ধি করতে পারে।
এই অগ্রণী প্রচেষ্টা ট্রেন পরিচালন ও পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সুরক্ষা, দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করতে অত্যাধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করার দিকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের যে প্রতিশ্রুতি তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে, সাথে সমগ্র দেশজুড়ে রেলওয়ে জোনগুলির জন্য এক মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে।