টাওয়ার দু’টি ভাঙার পর যেভাবে ধুলোর মেঘ তৈরি হয়েছিল তাতে অনেকের শ্বাসকষ্ট হতে পারে৷ এমনকী স্তুপাকৃত ধ্বংসাবশেষের ফলে হতে পারে স্বাস্থ্যের ক্ষতি৷ বাতাসে এই ধূলাকণা মিশে গিয়ে তৈরি হতে পারে জটিল পরিস্থিতি৷ বলছেন পালমোনোলজিস্ট ডাঃ অংশুমান মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, প্রথম সমস্যা হবে চোখে৷ সঙ্গে হবে কাশি, হাঁচি৷ যা মূলত ডাস্ট অ্যালার্জির ফলে হবে৷ যাদের ইতিমধ্যেই ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে বা সিওপিডি-তে ভুগছেন, তাদের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে৷
advertisement
এর পর দু-তিন দিনে সিমেন্টের কণা বা এধরনের যে সব মাইক্রো কণা রয়েছে সে সব বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে৷ যারা এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করবেন, তারাও আক্রান্ত হবেন৷ বলছেন চিকিৎসক৷ তাঁর মতে এখন প্রয়োজন অঝোর বৃষ্টি৷ অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের মতে এটি সম্ভাব্যভাবে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে৷
এ ধরনের অ্যালার্জি কারও কারও ক্ষেত্রে খুবই গুরতর হতে পারে৷ বলছেন দিল্লির চিকিৎসক ডাঃ নবনিত সুদ৷ বিশেষ করে যে সব শিশুরা শ্বাসকষ্ট ভুগছে, তাদের অবস্থা বেহাল হওয়ার আশঙ্কা করছেন ডাক্তারবাবুরা৷ তবে শুধু শ্বাসকষ্ট নয়, শিশুদের মস্তিষ্ক ঘঠনের উন্নতিতে বেঘাত ঘটাতে পারে ধূলোবালি৷ এমনকী কিডনি এবং স্নায়ুতন্ত্রেও তৈরি করতে পারে গভীর সমস্যা৷
বাঁচার উপায় একমাত্র ট্যুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তুপের কাছাকাছি না যাওয়া৷ স্থানীয় বাসিন্দারা সেই নিময় মেনেই চলছেন৷ এর সঙ্গে মাস্ক পরার নির্দেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ সঙ্গে থাকছে হাত-মুখ ধোরায় নির্দেশ৷ যতটা সম্ভব জলের ব্যবহার করুন৷ যে এলাকায় ভাঙা হয়েছে বিল্ডিং, তার থেকে ৪-৫ দিন দূরে থাকুন, জানানো হয়েছে সকলকে৷