এই জোড়া মিনারের নাম অ্যাপেক্স এবং কেয়ান ৷ এর মধ্যে প্রথমটির উচ্চতা ১০৩ মিটার ৷ দ্বিতীয় মিনার ৯৭ মিটার লম্বা ৷ নয়ডার সেক্টর ৯৩-এ এই নির্মাণ ধ্বংসে প্রতি বর্গফুট পিছু খরচ পড়বে ২৬৭ টাকা ৷ সব মিলিয়ে ভাঙনকালে যে মোট ২০ কোটি টাকা খরচ হবে তার মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেবে সুপার টেক সংস্থা ৷ বাকি ১৫ কোটি টাকা আসবে এর ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করে ৷ অনুমান, সুপারটেরক টুইন টাওয়ার ভেঙে পাওয়া যাবে ৫৫ হাজার টন সামগ্রী ৷ যার মধ্যে স্টিল থাকবে ৪ হাজার টন ৷
advertisement
এই মিনার ভেঙে ফেলার দায়িত্বে আছে এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা ৷ তাদের তরফে আরও ১০০ কোটি ধার্য করা হয়েছে বিমা হিসেবে ৷ যদি ভাঙতে গিয়ে টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়, তার জন্য এই অর্থ ধরা হয়েছে ৷ মিনার ধ্বংসের জন্য ব্যবহার করা হবে ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ৷ যা আনানো হয়েছে হরিয়ানার পলোয়াল থেকে ৷ বিস্ফোরকের মধ্যে আছে ডিনামাইট ও প্লাস্টিক বিস্ফোরক ৷
আরও পড়ুন : উদ্বোধন আজই, আলোক সজ্জিত ‘অটল সেতু’-র ছবি ট্যুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
এছাড়াও জোড়া মিনারকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য ব্যবহার করা হবে জলস্তম্ভের চাপকে ৷ জলস্তরের চাপে এই নির্মাণকে নিম্নমুখী করা হবে ৷ এর ফলে যে ৫৫ হাজার টন ইমারতি জিনিসের ধ্বংসাবশেষ থাকবে তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার হবে ৩ হাজার ট্রাকের ৷ ইমারতি আবর্জনা স্থানান্তর করার জন্য সময় লাগতে পারে ৩ মাস সময় ৷ ভেঙে ফেলার পর্বে কাজ করবেন অন্ত ১০০ কর্মী ৷ বিখ্যাত ব্লাস্টার চেতন দত্তা রবিবার দুপুর ২ টো ৩০ মিনিটে আঙুল ছোঁয়াবেন ধ্বংসকারী যন্ত্রের চূড়ান্ত বোতামে ৷ ৯ সেকেন্ড সময় লাগবে জোড়া মিনারের তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে ৷
আরও পড়ুন : চুক্তি বাতিলের জের, ভারতীয় রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি চিনা সংস্থার
সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট প্রজেক্টে মোট ৯১৫ ফ্ল্যাট ছিল ৷ তিন শয়নকক্ষ বিশিষ্ট প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১.১৩ কোটি টাকা ৷ এই প্রজেক্টে সংস্থার উপার্জন হত প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ৷ ইতিমধ্যেই ৬৩৩ টি ফ্ল্যাট বুক করা হয়ে গিয়েছিল ৷ এ বার সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক ক্রেতাকে ১২ শতাংশ সুদ-সহ ক্রয়মূল্য ফেরত দিতে হবে ৷
নিয়ম ভেঙে নির্মাণ করার দায়ে এই টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই সুবিশাল নির্মাণ ভেঙে ফেলার সময় সংলগ্ন এলাকায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ নেওয়া হয়েছে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৷