প্রস্তুতি সারা ছিল। দুপক্ষই সাংসদদের সভায় উপস্থিত থাকার হুইপ জারি করে। গত দুদিনে প্রসঙ্গ উঠলেও তিন তালাক বিল নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা একপাও এগোয়নি।
বিরোধীদের দাবি, এই বিলে ত্রুটি রযেছে। আশঙ্কার দুটি মূল বিষয়, তিন বছরের জেল এবং তার অপব্যবহার যে হবে না, এনিয়ে বিলে কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে তা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক। বিরোধীরাই নন, সরকারের শরিকদের মধ্যে থেকেও বিল নিয়ে আপত্তি ওঠে। যদিও এই বিলকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে শুরু থেকেই নারাজ ছিল সরকার। অধিবেশনের শেষদিনেও দুপক্ষ একই অবস্থানে থাকায় তিন তালাক বিলের ভবিষ্যত ঝুলেই রইল। সেইসঙ্গে চলল দোষারোপ পালটা দোষারোপ।
advertisement
২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। এই অধিবেশনে তালাক বিরোধী বিল নিয়ে ফের রাজ্যসভায় আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু বাজেট অধিবেশনে তা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
ফলে বিল নিয়ে ফের আলোচনা সম্ভব সেই বাদল অধিবেশনেই। রাজ্যসভায় গরিষ্ঠতার জোর দেখিয়েছে বিরোধীরা। সেই অস্ত্রে ঘায়েল করতেই কি বাদল অধিবেশন পর্য়ন্ত অপেক্ষা করতে চায় সরকার? বাদল সভার আগেই রাজ্যসভার একাধিক সাংসদের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। এই মুহূর্তে উনিশটি রাজ্য ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ফলে সংখ্যার তারতম্য হবেই। আপাতত সেই কৌশলকেই মাথায় রেখে বাদলের অপেক্ষায় মোদিরা।