সরকারের টেন্ডার পেয়ে ওরেভা নামের একটি বেসরকারি ট্রাস্ট সেতুটি সংস্কার করে। সেতুটি সংস্কারের জন্য সাত মাস ধরে বন্ধ ছিল। এটি ২৬ অক্টোবর পুনরায় খোলা হয়। মরবি মিউনিসিপ্যাল এজেন্সির প্রধান সন্দীপ সিংহ জালা জানিয়েছেন, এই ওরেভা কোম্পানি সেতুটি খোলার আগে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফিটনেস শংসাপত্র নেয়নি।
আরও পড়ুন- বিচার ব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর, মমতাকে জবাব দিলেন শুভেন্দু
advertisement
মাত্র এক সপ্তাহ আগে ঝুলন্ত সেতুটি মেরামত করা হয়। চারদিন আগেই তা সাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হয়। সপ্তাহকাল কাটতে না কাটতেই ভেঙে পড়ল সেই সেতু। সেই সময় সেতুতে প্রায় চারশো মানুষ ছিলেন৷ সন্দীপ বলেন, "এটি একটি সরকারি টেন্ডার ছিল। ব্রিজটি খোলার আগে ওরেভা গ্রুপে এটির সংস্কারের বিশদ বিবরণ দেওয়ার কথা ছিল এবং মান যাচাই করার কথা ছিল। কিন্তু তারা তা করেনি।"
বর্তমানে গুজরাত সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে দাবি, অত্যাধিক ওজন নিতে না পারার কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ৪০০ মানুষ ছিল সেতুটিতে। এছাড়াও ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল বলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা। যদিও কোটি টাকা খরচ করে তা মেরামতির পর চার দিন আগে জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয় ব্রিজটি। প্রশ্ন উঠছে তারপরেও কেবল ব্রিজটি ভেঙে পড়ল কেন? এমনকি অভিযোগ উঠছে বড়সড় দুর্নীতির।