২০০৫-২০০৬ সালের ঘটনা৷ নয়ডার নিঠারি থেকে একের পর এক শিশু, কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার খবর সামনে আসতে শুরু করে৷ সেই নিখোঁজ কাণ্ডের তদন্তে নেমে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর পেশায় ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ির চারপাশ থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় ১৯টি কঙ্কাল৷ পাওয়া গিয়েছিল একাধিক হাড়গোড়ও৷ ঠিক কতগুলি শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুন করেছিল মণীন্দ্র সিং পান্ধের, তা নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে৷
advertisement
এই গোটা পর্বে মণীন্দ্রকে সাহায্য করেছিল তার পরিচারক সুরেন্দ্র কোলি৷ অভিযোগ, শিশু, কিশোরীদের চকোলেট, মিষ্টির লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে তাঁদের খুন করত৷ তারপর মৃতদেহের সঙ্গে যৌন ক্রিয়া চালাত এঁরা দু’জন৷ এমনকি, তাদের মাংসও নাকি প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে খেত মণীন্দ্র এবং সুরেন্দ্র৷
নিঠারি কাণ্ডের ১৯টি মামলার মধ্যে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে সাতটিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় কোলিকে। মণীন্দ্র অবশ্য মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। পরে পিঙ্কি খুনের মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মণীন্দ্রের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ নিয়ে গিয়েছিল বছর কুড়ির বাঙালি তরুণী পিঙ্কি৷ ২০০৭ সালের এপ্রিলে পিঙ্কির জামাকাপড় শনাক্ত করেন তাঁর বাবা-মা। তদন্তকারী সংস্থা জানায়, পিঙ্কিকেও শারীরিক নির্যাতন করে খুন করা হয়েছিল। সুরেন্দ্র দোতলার কলঘরে তাঁকে খুন করেন। তার পর তাঁর মাথা কেটে বাকি দেহ প্রেশার কুকারে রান্না করে খেয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে।