তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তারও আগে, প্রায় আট মাস আগে তিনি আমাকে একবার ডেকে নিয়ে জিএসটি-র পুরো কাঠামো—হার, প্রক্রিয়া এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ নিয়ে কীভাবে সহজ করা যায়, সেই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, এ বিষয়ে আমি যেন বিকল্প ভাবি। আমি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলাম যে আমি প্রস্তাব নিয়ে তাঁর কাছে ফিরব।”
advertisement
আমেরিকায় দারিদ্র্যের দিন শুরু! ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য আরও এক ধাক্কা! নতুন রিপোর্টে ব্যাপক চাঞ্চল্য!
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, বাজেট সেশন চলাকালীনও মোদি তাঁকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। পরে এপ্রিলের ঘটনাপ্রবাহ ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আবার এ নিয়ে আলোচনা করেন।
সীতারামনের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ব্যবসা সহজ করার এমন এক ব্যবস্থা চাই, যেখানে ছোট ব্যবসায়ীদের আলাদা করে অডিটরের কাছে বসতে হবে না। বাজেটে যেমন মধ্যবিত্ত ও সাধারণ করদাতাদের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে, জিএসটি সংস্কারেও সেটাই বজায় রাখতে হবে। এই কর প্রতিটি নাগরিকের জীবনের সঙ্গে যুক্ত, তাই সংবেদনশীল হতে হবে।”
অর্থমন্ত্রী জানান, এই প্রথমবার কেন্দ্র সরাসরি জিএসটি কাউন্সিলে প্রস্তাব রেখেছে। এর আগে সবসময় গ্রুপ অফ মিনিস্টারস (GoM) এই কাজ করত। ক্ষতিপূরণ সেস বন্ধ করার ক্ষেত্রেও এবার কেন্দ্রই বিস্তৃত প্রস্তাব দেয়।
লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, নতুন সংস্কারে করহার সরলীকরণ করা হবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে কর কমানো হবে।
জিএসটি সংস্কার: কী বদলাচ্ছে?
- দুই স্ল্যাব কাঠামো: ৫% ও ১৮% — ১২% ও ২৮% হার বাতিল।
- বিশেষ স্ল্যাব: বিলাসপণ্য ও পাপ-পণ্য (সিগারেট, বিলাসবহুল গাড়ি, ইয়ট ইত্যাদি)-এর জন্য ৪০% কর।
- কমছে কর: ঘি, মাখন, রুটি, শ্যাম্পু, তেল, টুথপেস্ট-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে কর ছাড়।
- বাড়ছে কর: তামাকজাত দ্রব্য, বিলাসবহুল গাড়ি, ইয়ট, পানীয় ইত্যাদিতে কর বাড়ছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সিদ্ধান্তে এফএমসিজি, স্বাস্থ্যখাত, পরিকাঠামো, ছোট অটো, কৃষি ও নবায়নযোগ্য শক্তি-সংক্রান্ত স্টকগুলোতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।