সেই বিস্ফোরণ জাকির হোসেন সহ ২৭ জন আহত হন। রবিবার নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে মুল অভিযুক্তদের শাস্তি সহ একাধিক দাবিতে ২৭ জন আহত রেলের সাহায্য চেয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। নিমতিতা রেল ষ্টেশনে সামনে তাঁরা প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন- সূত্র দিল মোবাইল, উত্তর প্রদেশ থেকে বিয়ের বন্ধন ছিড়ে ঘরে ফিরল জয়নগরের নাবালিকা!
advertisement
কারও পা চলে গিয়েছে, কারও হাত। জাকির হোসেন অনুগামী হওয়ার জেরে ষ্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ আহত হন তাঁরা। তাঁদের দাবি, এক বছর হতে চলল এই বিস্ফোরণ কাণ্ডে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিলেও বর্তমানে সেই টাকা শেষ। ফলে সমস্যায় পড়েছেন আহতরা।
এদিন এক আহত বলেছেন, আমাদের মধ্যে কারও পা চলে গেছে। কারও হাত কাটা পড়েছে। আহতদের চাকরি সহ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা। একইসঙ্গে মুল অভিযুক্তের শাস্তির দাবিজানাচ্ছি।
এই প্রসঙ্গে সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেছেন, ''অভিযুক্তরা তৃণমূল দলের লোক। তাই গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় পুলিশকে অনুমতি দিক মুখ্যমন্ত্রী, তা হলে গ্রেপ্তার হবে। দলের নেতাদের উপর হামলা হল। কিন্তু কিছু জানা গেল না আজ পর্যন্ত। এই নিয়ে দিদির কোন ব্যাখ্যা শোনা গেল না। মন্ত্রীর উপর হামলা হল। জাকির হোসেন জঙ্গিপুর বিধানসভা নির্বাচনে যে ভাবে জয়ী হয়েছে তার জনপ্রিয়তা আছে। জাকির কে খুন করার চেষ্টা করা হল।অথচ কেউ গ্রেপ্তার হল না।''
আরও পড়ুন- বাথরুমের দেওয়াল ভেঙে ঢুকে পড়ল চোর! ভয়ঙ্কর ঘটনা ক্যানিংয়ে
প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের কথায়, ''রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন আই এ কি দিয়ে তদন্ত করা নির্দেশ দিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এন আই এ তদন্ত শেষ করতে পারল না। কেমন কাজ করলে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী সংস্থা! রেলের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে আহতরা সকলেই খুব অসহায়।'' যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক বলে মন্তব্য করেন জাকির হোসেন।