এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-এর গোয়েন্দাদের নজরে ওই জিপলাইন রোপওয়ে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মুজাম্মিল নামে এক যুবক৷ ওই পর্যটকের ভিডিওর শুরুতে দেখা যাচ্ছে, ঋষি ভাট নামে ওই পর্যটককে জিপলাইন রোপওয়েতে বেঁধে ঠেলে দেওয়ার সময় মুজাম্মিল আল্লাহ হু আকবর বলছেন৷ এর পরেই বৈসরনে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে৷
advertisement
ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, মুজাম্মিল নামে ওই যুবক হামলার বিষয়ে আগে থেকে জানতেন কি না৷ ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুজাম্মিলকে আটক করেছে এনআইএ৷ তবে ইন্ডিয়া টুডে-র একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এখনও মুজাম্মিলের সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার কোনও যোগ মেলেনি৷ পর্যটককে জিপলাইনে ঠেলে দেওয়ার আগে তাঁর আল্লাহ হু আকবর বলার সঙ্গেও জঙ্গি হামলার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি এনআইএ আধিকারিকদের৷
সোমবার ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই এনআইএ মুজাম্মিলকে আটক করে৷ যে পর্যটক ওই ভিডিও শ্যুট করেন তিনি নিজেই মুজাম্মিলের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেন৷
মুজাম্মিলের বাবা দাবি করেছেন, ওই পর্যটককে জিপলাইনে ঠেলে দেওয়ার সময় অভ্যাশবশতই আল্লাহ হু আকবর বলেছিলেন তাঁর ছেলে৷ মুজাম্মিলের বাবা আব্দুল আজিজের কথায়, ‘আমরা মুসলিম, আমরা ঝড় এলেও আল্লাহ হু আকবর বলি৷ বাড়িতে খেতে বসলেও বলি৷ আমি ওই ভিডিও দেখিনি৷ কিন্তু সবশুনে মনে হয়েছে ওই পর্যটক যাতে নির্বিঘ্ন জিপলাইনে ঘুরে আসতে পারেন, সেই শুভেচ্ছা জানাতেই ও আল্লাহ হু আকবর বলে৷ তাতে কী হয়েছে? ও সৎভাবে খেটে উপার্জন করে, পর্যটকের প্রতিও সৎ থাকতে চেয়েছিল ও৷’
আব্দুল আজিজের আরও দাবি, সম্ভবত ওই পর্যটক জিপলাইনে ওঠার সময়ই তাঁর ছেলের কানে গুলির শব্দ এসেছিল৷ সেই জন্যই ভয় পেয়ে গিয়ে সর্বশক্তিমানকে স্মরণ করেছিলেন তাঁর ছেলে৷
মুজাম্মিলের দাদারও দাবি, বৈসরনে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তাঁর ভাই৷ ঘটনার পর থেকেই মুজাম্মিল কাঁদছিল বলে দাবি তাঁর দাদার৷
স্থানীয় ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ইমরান নবি দার, পিডিপি মুখপাত্র মহম্মদ ইকবাল ত্রামবুও দাবি করেছেন, চোখের সামনে কোনও বিপর্যয় বা ভয়ঙ্কর কিছু দেখলে স্বাভাবিক প্রবণতাতেই সর্বশক্তিমানকে স্মরণ করতে মুসলিমরা আল্লাহ হু আকবর বলেন৷ নির্দোষদের যাতে এই হামলার সঙ্গে না জড়ানো হয়, সেই দাবি তুলেছেন কাশ্মীরের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা৷