এনআইএ সূত্রে দাবি, ইউসুফের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। প্রয়োজনে এনআইএ তদন্ত করতে পারে। ইতিমধ্যে ধৃত আফগান নাগরিককে জেরা করতে চেয়ে ভুবনেশ্বরের আদালতে আবেদন করেছে এনআইএ। নথি জাল করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন ভুবনেশ্বর থেকেই। তৈরি করেছিলেন আধার, ভারতীয় ভোটার কার্ড থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সও। ভুয়ো পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে দুবাই যাওয়ার পথে মহম্মদ ইউসুফ ওরফে ইয়াহা খান প্রথমে আটক হয় অভিবাসন দফতরের আধিকারিকদের হাতে। তারপর তাকে গ্রেফতার করে ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্ট থানা। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই আফগান নাগরিকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ‘লুকআউট নোটিস’ জারি ছিল।
advertisement
২০১৮ সাল থেকে কটকে থেকে ব্যবসা করলেও তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছেন এই আফগান নাগরিক ২০১৭ সালে আফগান পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে আসেন। কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। কলকাতায় কিছু দিন থেকে চলে যান কটকে। সেখানে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। এরই মাঝে আফগান থেকে আসা ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। আফগানিস্তানের পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়।এর পর কটকেই আধার, ভোটার কার্ড তৈরি করে নেয় ইউসুফ। বানিয়ে ফেলে ভারতীয় পাসপোর্ট যা ভুয়ো বলেই দাবি ভুবনেশ্বর পুলিশের।
এবার এই ধৃত আফগান নাগরিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করল এনআইএ। এয়ার পোর্ট থানায় গিয়ে কেস সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছেন এনআইএ-এর দুই আধিকারিক। কথা বলেছেন থানার তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গেও। এমন কী কটকের যে এলাকায় ইউসুফ ভাড়া থাকত, সেখানেও যান এনআইএ কর্তারা। কথা বলেন বাড়ির মালিকের সঙ্গেও। সূত্রের দাবি, ইউসুফের আরও এক সঙ্গীর গতিবিধি এনআইএ স্ক্যানারে।
ইউসুফ যার সঙ্গে থাকতেন, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনআইএ। এনআইএ ছাড়াও সেন্ট্রাল আইবি-র তরফেও এই মামলায় ধৃত ইউসুফের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এনআইএ সূত্রে দাবি, ২০১৭ সালে কলকাতা এসেছিলেন ধৃত। এই বিষয়েও তাঁরা খোঁজ নেবেন। কলকাতা যদি এসে থাকেন, তবে কোথায় ছিলেন? কারা থাকতেন তার সঙ্গে? সমস্তটাই জানতে মরিয়া এনআইএ।