কিছু দিন আগেই রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল নিউজ18 দ্বারা আয়োজিত এক অভূতপূর্ব সংবর্ধনা সভা, যেখানে দেশের সেই সব নাগরিকদের শ্রদ্ধা জানানো হয়, যাঁরা তথাকথিত সাধারণ জীবনযাত্রার মধ্যেই অসাধারণকে রূপ দিয়েছেন। দেশের সেই সব নায়ককে লোকসমক্ষে নিয়ে আসে এই রাইজিং ইন্ডিয়া অনুষ্ঠান। নিউজ18-এর সঙ্গে এই সভার আয়োজনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল পুনাওয়ালা ফিনকর্পও। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উপস্থিতি আলোকোজ্জ্বল করেছিল এই আয়োজনকে।
advertisement
তার সূত্র ধরেই নিউজ১৮ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক সমীক্ষার আয়োজন করে। রাইজিং ইন্ডিয়া সামিট-এর এই পর্বে সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের কাছে প্রশ্ন রাখে নিউজ18। জানতে চাওয়া হয় যে দেশের বর্তমান ভাবমূর্তি এবং বাণিজ্যিক পরিবেশ নিয়ে কী ভাবছেন তাঁরা। ইউজারদের গর্বোচ্ছল উত্তর স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে যে দেশ কোনও অংশেই কারও থেকে পিছিয়ে নেই।
বিগত দশকে বিশ্বদরবারে যে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে ক্রমশ উজ্জ্বলতর হয়ে উঠেছে, তা ক্রমশই বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে, সেই মর্মে সহমত প্রকাশ করেছেন ৭৫ শতাংশ ইউজার, ২৫ শতাংশ যদিও তা অস্বীকার করেছেন- তাঁদের দাবি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। অন্য দিকে, ট্যুইটারে এই সপক্ষে এবং বিপক্ষে মতামতের হার যথাক্রমে ৬৯.৮০ শতাংশ এবং ৩০.২০ শতাংশ।
একই ভাবে যখন জানতে চাওয়া হয় বিগত দশকে দেশের বাণিজ্যিক পরিবেশের উন্নতি হয়েছে কি না, তার উত্তরে সদর্থক মত প্রকাশ করেছেন ইনস্টাগ্রামের ৫৮ শতাংশ ইউজার, জানিয়েছেন যে তার তাৎপর্যপূর্ণ বিকাশসাধন হয়েছে। ২৮ শতাংশ যদিও তা মেনে নিতে চাননি, ১৪ শতাংশ জানিয়েছেন যে বাণিজ্যে লাল বাতি জ্বলার হার কমলেও বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে তা ধুঁকছে। ট্যুইটারে যথাক্রমে এই দৃষ্টিকোণ থেকে ভোট পড়েছে ৬৭.২০ শতাংশ, ২৬.৬০ শতাংশ এবং ৬.৩০ শতাংশ।
পাশাপাশি, শিল্পক্ষেত্রের অবকাঠামো সম্পর্কেও ইউজারদের মতামত চাওয়া হয় এই সমীক্ষায়, জানতে চাওয়া হয় ২০১৪ সালের পর থেকে এই খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে কি না! ইনস্টাগ্রামে ৮৫ শতাংশ ইউজার সপক্ষে এবং ১৫ শতাংশ বিপক্ষে রায় দেন। একই ভাবে ট্যুইটারে ২৯.৪০ শতাংশ নেতিবাচক মতকে হারিয়ে শিল্পক্ষেত্রের অবকাঠামোর উন্নতিসাধনের প্রমাণ দেয় ৭০.৬০ শতাংশ নাগরিকের বলিষ্ঠ ঐকমত্য।