ভারতীয় রেলওয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে চলা দশ (১০) জোড়া ট্রেন পরিষেবার উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে, যা প্রচলিত আইসিএফ কোচ থেকে আধুনিক এলএইচবি (লিংক হফম্যান বুশ) রেকে উন্নীত করা হবে। এই পদক্ষেপ ভারতীয় রেলওয়ের চলমান আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার অংশ যার লক্ষ্য যাত্রীদের সুরক্ষা, যাত্রার আরাম এবং পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করা। এলএইচবি রেকগুলি উন্নততর সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য, অতিরিক্ত গতিবেগ, কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা এবং যাত্রীদের জন্য সামগ্রিকভাবে আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, দশ জোড়া ট্রেনকে এলএইচবি রেকে রূপান্তরের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।
advertisement
এর মধ্যে, ২০২৫-এর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ (০৫) জোড়া ট্রেনের রূপান্তর সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। ট্রেন নং. ১৫৭১৫/১৫৭১৬ (কিশানগঞ্জ-আজমের-কিশানগঞ্জ), ট্রেন নং. ১৫৭২২/১৫৭২১ (নিউ জলপাইগুড়ী-দীঘা-নিউ জলপাইগুড়ী), ট্রেন নং. ১৩১৫৯/১৩১৬০ (কলকাতা টার্মিনাল -যোগবানি-কলকাতা টার্মিনাল), ট্রেন নং. ১৩২১২/১৩২১১ (দানাপুর-যোগবানি-দানাপুর) এবং ট্রেন নং. ১৩২১৪/১৩২১৩ (সহরসা জং.-যোগবানি-সহরসা জং.)।একইভাবে ট্রেন নং. ১৫৯১১/১৫৯১২ (তিনসুকিয়া জং.-নাহরলগুন-তিনসুকিয়া জং.), ট্রেন নং. ১৩১৭৩/১৩১৭৪ (শিয়ালদহ-সাব্রুম-শিয়ালদহ) এবং ট্রেন নং. ১৩১৭৫/১৩১৭৬ (শিয়ালদহ-শিলচর-শিয়ালদহ) এলএইচবি আপগ্রেডেশনের জন্য ট্র্যাকে রয়েছে এবং নভেম্বর ২০২৫ এর শেষের মধ্যে রূপান্তরের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে।
এছাড়াও, ট্রেন নং. ৫৫৬৭৫/৫৫৬৭৬ (আগরতলা-ধর্মনগর-আগরতলা) এবং ট্রেন নং. ১৫৬৬৪/১৫৬৬৩ (শিলচর-আগরতলা-শিলচর) ২০২৬-এর জানুয়ারিতে রূপান্তরের জন্য নির্ধারণ করা করা হয়েছে।উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আগামী বছরগুলিতে এলএইচবি রেক বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে এবং কার্যকরী সম্ভাবনীয়তা, চাহিদা এবং রোলিং স্টকের উপর ভিত্তি করে আরও ট্রেনের রূপান্তর মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এই রূপান্তর সম্পূর্ণরূপে এলএইচবি ভিত্তিক বহর অর্জনের দিকে আরেকটি পদক্ষেপ, যা এই অঞ্চলের যাত্রীদের জন্য সুরক্ষামূলক, আধুনিক এবং নির্ভরযোগ্য রেল পরিষেবা নিশ্চিত করবে।
