প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমি নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেব। এই সুন্দর ভবনটি দেশের করদাতাদের টাকায় তৈরি হয়েছে। এটা বিজেপি বা আরএসএস-এর দফতর নয়। নতুন সংসদ ভবন সারা দেশের সম্পদ।”
advertisement
অন্যদিকে, বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও কেন্দ্রীয় সরকারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বিবৃতি জারি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “অনুষ্ঠান বয়কট করা এবং এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে একজন আদিবাসী মহিলার সম্মান যোগ করা ঠিক নয়।”
তবে আগের থেকে নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন মায়াবতী। তিনি বলেছেন, “অতীতের কংগ্রেস হোক বা বর্তমানের বিজেপি সরকার হোক, বিএসপি সবসময় দেশ ও জনগণের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থেকেছে। একইভাবে ২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনেও থাকবে।”
নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে থাকবে শিন্ডে শিবিরের শিবসেনা, এনপিপি, এআইএডিএমকে, আপনা দল, অসম গণ পরিষদ। এছাড়াও, এন ডি এর বাইরে এল জে পি, বিজেডি, বিএসপি, টিডিপি, ওয়াই এস আর সি পি এবং আকালি দল।
বুধবার ১৯টি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের কথা জানানো হয়। তাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করে কেন্দ্র গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে অস্বীকার করছে। কেন সাভারকারের জন্মদিনেই এই নতুন ভবন উদ্বোধন করা হচ্ছে, তা নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সি আর জয়া সুকিন। তাঁর সওয়াল, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন একমাত্র রাষ্ট্রপতিই করতে পারেন। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধান অবমাননা করেছে।
রাজীব চক্রবর্তী