পুরনো মুখেই আস্থা বিজেপির।বিপ্লব দেব সরলেও, মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই চিকিৎসক মানিক সাহা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যে মন্ত্রিসভা গঠন করছেন তার সদস্য সংখ্যা ১১ জন। এর মধ্যে বিজেপি থেকে রয়েছেন ৯ জন ও জোট সঙ্গী দল আইপিএফটি থেকে আছেন ২ জন।
আরও পড়ুন: দল জনবিচ্ছিন্ন, মানল কংগ্রেস! রোডম্যাপ বানিয়ে 'কঠোর পরিশ্রমের' বার্তা রাহুলের
advertisement
মন্ত্রিসভার সদস্যরা হতে চলেছেন, জিষ্ণু দেব বর্মা, নরেন্দ্র চন্দ্র দেব বর্মা, রতন লাল নাথ, প্রাণজিৎ সিংহ রায়, মনোজ কান্তি দেব, শান্তনা চাকমা, রাম প্রসাদ পাল, ভগবান চন্দ্র দাস, সুশান্ত চৌধুরী, রামাপদ জামাতিয়া ও প্রেম কুমার রেয়াং।
ত্রিপুরার নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ ২ জন। বিজেপি বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া এবং আইপিএফ টি বিধায়ক প্রেম কুমার রিয়াং। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন মেবার কুমার জামাতিয়া। রাজ ভবনের কাছে নয়া মন্ত্রিসভার ১১ সদস্যের নাম ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে৷ প্রস্তাব করা হয়েছে উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সেই জিষ্ণু দেব বর্মার নাম।
আরও পড়ুন: ফের বিস্ফোরক অর্জুন সিং! নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের আগেই ফাটালেন বোমা, যা বললেন বিজেপি সাংসদ
প্রসঙ্গত, জিষ্ণু দেব বর্মার ছেলে কিছুদিন আগেই ত্রিপুরার এক হোটেলে অভব্য আচরণ করে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে৷ এই বিষয়ে একাধিকবার বিরোধীরা সরব হয়েছে। তার পরেও জিষ্ণু বাবুকে উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মন্ত্রিসভায় রেখে দেওয়া অনেকেরই নজরে এসেছে।
এছাড়া আগ্রহ তৈরি হয়েছে আরও একটি নামকে ঘিরে। তিনি হলেন রাম প্রসাদ পাল। মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী বাছায় বিজেপি-র পরিষদীয় দলের বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন রামপ্রসাদ৷ কার্যত চেয়ার ছুড়ে মারতে যান তিনি৷ এমন কি, তিনি যে আচরণ তৈরি করেন তা অনেকেরই নজরে এসেছে। মানিক সাহা রাজ্য সভাপতি থাকাকালীনও একাধিকবার তাঁর বিরোধিতা করেছেন রাম প্রসাদ পাল।এর পরেও রাজ্য নয়া মন্ত্রিসভায় রাখা হয়েছে রাম প্রসাদকে৷