সভাপতিই নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে প্রতীকের অনুমোদন নেন। ফলে অখিলেশেরই সাইকেলের অধিকার পাওয়ার কথা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুই পক্ষের বিরোধের কোনও সমাধানসূত্র না মিললে দলীয় প্রতীক (সাইকেল) বাজেয়াপ্তও হতে পারে। আর তা যদি হয় তাহলে সমাজবাদী পার্টিকে বিনা প্রতীকেই নির্বাচনে লড়তে হতে পারে। তাই তড়িঘড়ি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মুলায়ম ৷
advertisement
এর আগে জানা গিয়েছিল মুলায়মের শারীরিক অবস্থার কারণে চিকিৎসকেরা তাকে দিল্লি যেতে নিষেধ করেছেন ৷ কিন্তু মুলায়ম নিজেই এই কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন যে তিনি একদম সুস্থ আছেন ৷
সমাজবাদী পার্টির অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবার পৌঁছল নির্বাচন কমিশনে ৷
রবিবার বিকেলে শিবপাল জানিয়েছেন,‘মঙ্গলবার আমি ও নেতাজি দিল্লি যাচ্ছি ৷ আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব ৷ কমিশনকে এই বিষয়ে মেল ও ফ্যাক্স করা হয়েছে ৷ ’
মুলায়ম সিং লিখিতভাবে জানান, রবিবার রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে নেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্ত একেবারেই অসাংবিধানিক ৷ এই অধিবেশন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বেআইনি ৷ সমাজবাদি পার্টির ভিতরে কিছু মানুষজন রয়েছে, যারা এই পার্টিকে ধ্বংস করতে চাইছে ৷
নতুন বছরের শুরুতেই একেবারে সরগরম হয়ে উঠল সমাজবাদী পার্টির মঞ্চ ৷ উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে সপার রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে রামগোপাল যাদব মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করলেন ৷ আর অন্যদিকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হল অমর সিংকে ৷
সপার জাতীয় সভাপতি হলেন অখিলেশ যাদব ৷ মুলায়মের বদলে অখিলেশের প্রতিই আস্থা দেখাচ্ছে দল ৷ এমনকী, রবিবার সকালেই মুলায়ম সিং যাদব চিঠি দিয়ে দলের বিধায়কদের জানিয়ে ছিলেন, এই সম্মলেন যাঁরা অংশ নেবেন, তাঁদের প্রতি কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে ছিলেন সপা সু্প্রিমো মুলায়ম সিং ৷ তবে রবিবার সকালে গোটা চিত্রটাই বদলে গেল ৷
সম্মলনের মঞ্চ থেকে মুলায়ম সিং প্রসঙ্গে অখিলেশ জানালেন, ‘নেতাজি সবসময়ই আমরা বাবা৷ কিন্তু কিছু নেতা সপা সরকার গড়তে দিতে চায় না ৷ এই চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ ’