পেশায় অর্থনীতিবিদ ৭৯ বছর বয়সি অনিতা জার্মানিবাসী ৷ তিনি মনে করেন টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে যে চিতাভস্ম রক্ষিত, তা প্রকৃতই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কি না, তার বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে ডিএনএ টেস্ট করলেই ৷ এই প্রক্রিয়ায় সম্মত জাপানের সরকারও ৷ অনিতার কথায়, তাঁর বাবা দেশের স্বাধীনতার স্বাদ পাননি ৷ তাই এখন সময় এসেছে অন্তত তাঁর শেষ নশ্বর চিহ্নটুকু ভারতের মাটিতে ফিরে আসুক ৷
advertisement
ভারতের স্বাধীনতা লাভের ৭৫ বছর পূর্তিতে সংবাদসংস্থাকে প্রবীণা অনিতা বলছেন, ‘‘আধুনিক প্রযুক্তি সুযোগ দেয় অত্যাধুনিক ডিএনএ পরীক্ষার ৷ তবে তার জন্য দেহাবশেষ থেকেই ডিএনএ সংগ্রহ করতে হবে ৷ যাঁরা এখনও সংশয় প্রকাশ করেন যে নেতাজি ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট প্রয়াত হননি, তাঁদের সামনে এ বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ রাখার সুযোগ আসবে যে টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে রক্ষিত দেহাবশেষ প্রকৃতপক্ষে নেতাজিরই ৷’’ জাস্টিস মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের দিকে ইঙ্গিত করে অনিতা বলেন রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিত ও জাপান সরকারও এই প্রক্রিয়ায় সম্মত ৷
আরও পড়ুন : মহাকাশের মহাশূন্যে উড়ল ভারতের জাতীয় পতাকা, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
‘‘তাই অবশেষে আমরা সকলে এ বার প্রস্তুত হই তাঁকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য ৷ জন্মভূমির স্বাধীনতার থেকে তাঁর জীবনে অন্য আর কিছুই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না ৷ বিদেশিদের শাসনমুক্ত ভারতে বসবাস করার থেকে তাঁর কাছে আর কোনও কিছুই বেশি কাঙ্ক্ষিত ছিল না ৷ তিনি যেহেতু স্বাধীনতার আনন্দ প্রত্যক্ষ করতে পারেননি, তাই এটাই সেই সময়, যখন অন্তত তাঁর দেহাবশেষ ভারতের মাটিতে ফিরে আসতে পারে ৷’’
আরও পড়ুন : রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত নানা জিনিস, অতীতে বিপ্লবীদের গোপন আখড়া এই মঠে দু’দিন ছিলেন নেতাজি
বিবৃতিতে অনিতা লিখেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একমাত্র সন্তান হিসেবে তিনি চান তাঁর স্বাধীন দেশে ফিরে আসার যে প্রিয়তম ইচ্ছে তাঁর পিতার ছিল, তা যেন যথাবিহিতভাবে পালিত হয় ৷