বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় নওশাদ জানান, ‘দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস উপস্থিত আর যেখানেই তৃণমূল সেখানেই দুর্নীতি। আমরা প্রথমেই দেখলাম শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। তারপরে পুরো নিয়োগে দুর্নীতি। তারপর রেশন বন্টনের দুর্নীতিতে এক চাল ব্যবসায়ীকে ধরা হয়েছিল। এরপর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী রেশন বন্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতার করেছে ইডি। এটা নিয়ে অনেক চর্চা চলছে। তবে আমরা ভুলে যাইনি আমফান ঝড়ের সময় এবং কোভিড কালে তৃণমূল কংগ্রেস চাল চুরি করেছে এমন অভিযোগ উঠেছিল। দুঃখের বিষয় এরা বিভিন্ন জায়গাতে দুর্নীতি করেছে। শিক্ষক নিয়োগ, বালি পাচার, কয়লা পাচার, গরু পাচার, ফায়ার ব্রিগেডে নিয়োগ, কনস্টেবলে নিয়োগ, পুরো নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। অবশেষে গরিব মানুষ যে রেশন টুকু পায় সেইখানেও এরা দুর্নীতি করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়েছে। এবং সেগুলো জনমানুষে আসছে।’
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির পরিচারক ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর! অনুব্রতর দেখানো পথেই জ্যোতিপ্রয়, দাবি ইডি-র
নওশাদের প্রশ্ন, ‘হাজার হাজার মানুষ রেশন ঠিকঠাক পাচ্ছে না। তার পরিবর্তে এই বড় বড় নেতারা কী করছে? বাতিল বা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে রেশনগুলো তুলে নিচ্ছে। ধিক্কার জানাই। নিন্দা জানাই। বাচ্চাদের মিড ডে মিলের চাল নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে। কোয়ালিটি নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমি মনে করি এটা ‘অর্গানাইজ’ দুর্নীতি। এটা একটা সিন্ডিকেট আছে। এই সিন্ডিকেটটাকে আগে ভাঙতে হবে। যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। শুধুমাত্র একজন প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রীকে গ্রেফতার করলেই এর সমাধান হবে না বলেই মনে করি। শিক্ষক নিয়োগের সময় দেখলাম আধিকারিকরা জড়িয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে হয়তো আইএএস, ডব্লিউবিসিএস যারা আছেন, তাঁরাও এর মধ্যে হয়তো জড়িয়ে থাকতে পারেন। তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। অনেক বিডিও বা ফুড ইন্সপেক্টর এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।’
একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট আরও নেতা এই রেশন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন নওশাদ৷