দেশের যে কোনও প্রান্তের যে কোনও ব্যাঙ্কের সামনের চিত্র ছিল একই ৷ নগদ টাকার আশায় লম্বা লাইন ৷ ক্যাশ সঙ্কট সামাল দিতে সেবার বেঁধে দেওয়া হয়েছিল নগদ লেনদেন ও ক্যাশ টাকা তোলার উর্ধ্বসীমা ৷
সেবার পুরনো নোট বাতিলের কারণে হঠাৎই দেশের অর্থনীতি থেকে বাদ পড়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার নগদ টাকা ৷ সেই সমস্যার কারণেই শুরু হয় নগদের আকাল ৷ কিন্তু আবার কেন হবে ক্যাশের সমস্যা? তাহলে কি আবারও বাতিল হতে চলেছে কোনও নোট?
advertisement
নোট বাতিল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা আপাতত না থাকলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চাহিদা অনুযায়ী নোটের যোগান না দেওয়ার কারণে অচিরেই নগদ সঙ্কটে ধাক্কা খেতে চলেছে জনজীবন ৷ সিএনবিসি-আওয়াজ-এর এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি RBI ব্যাঙ্কগুলিকে পাঠানো ক্যাশ টাকার পরিমাণ প্রায় ২৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে ৷
এই কারণে ব্যাঙ্কের সঙ্গে সঙ্গে এটিএমও টাকার যোগান খুব কম ৷ বেশিরভাগ সময়েই মিলছে না পছন্দমতো অ্যামাউন্টের টাকা ৷ এটিএম খোলা থাকলেও ঝুলছে নো ক্যাশ বোর্ড ৷ রিপোর্ট বলছে, আগামী দিনে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে চলেছে ৷
পরিসংখ্যান বলছে, ৩১ মার্চের সপ্তাহে ক্যাশ সার্কুলেশন ৩২,৪৭০ কোটি টাকা থেকে কমে ২২,১৯০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে ৷ এর আগে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে নগদের যোগানের পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার কোটি টাকা ৷
সূ্ত্রের খবর, বর্তমানে নগদ সমস্যায় সবথেকে বেশি জর্জরিত পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি ৷ নোট বাতিলের পর ক্যাশলেস সেনদেন বাড়লেও নোটের যোগান স্বাভাবিক হতেই আবার মানুষ নগদ লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে ৷
এমতাবস্থায় ডিজিট্যাল পেমেন্ট এবং প্লাস্টিক মানিই এই সমস্যার সমাধান ৷ আসলে নোট বাতিলের পর থেকেই ক্যাশলেস ও ডিজিটাল লেনদেনের উপর জোর দেওয়ার কথা বারেবারে বলে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহিত করতে একের পর এক নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে ৷ লঞ্চ করা হয়েছে ভীম অ্যাপ, আধার অ্যাপের মতো সহজ ডিজিট্যাল পেমেন্ট মাধ্যম ৷ কিন্তু এখনও ভারতবর্ষের অধিকাংশ মানুষ স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার জানেন না, তাই নগদ টাকা যোগান কমলে তাদের প্রাত্যহিক জীবন বহু সমস্যার মধ্যে পড়ে ৷