সম্প্রতি এই ঝুঁকির পারাপার সামাজিক মাধ্যমে ট্যুইট করেছে এক সংবাদ সংস্থা৷ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়েছে সেই ট্যুইট৷ নেটিজেনদের প্রশ্ন, খুদে পড়ুয়াদের কথা ভেবে একটা সেতু বানিয়ে দেওয়া যায়নি কেন? স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ‘‘নদী এখানে গভীর৷ কিন্তু পড়ুয়াদের স্কুলে তো যেতে হবে৷ তাই আমরা তাদের কাঁধে বা বড় পাত্রে চাপিয়ে স্কুলে নিয়ে যাই৷’’ নদীর উপরে একটা সেতুর জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷
advertisement
আরও পড়ুন : ৬ বছরের বোনের হাত ধরে আছে ১১ বছর বয়সি দিদি, বাড়ির ভগ্নস্তূপ থেকে উদ্ধার ধসে পিষ্ট দুই বালিকার দেহ
এই মরশুমে প্রবল বর্ষণে ভেসে গিয়েছে রায়গড়, পালঘর, নাসিক, পুণা, সাতারা, কোলাপুর-সহ মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশ৷ বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল মুম্বই, ঠানে, গড়চিরোলি, চন্দ্রপুর, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ, নন্দুরবার ও অন্যান্য এলাকায়৷
আরও পড়ুন : সাফাইকর্মী থেকে এসবিআইয়ের শীর্ষ পদে! প্রতীক্ষার জীবনের গল্প হার মানায় ছবির চিত্রনাট্যকেও
তবে শুধু নাসিক নয় ৷ প্রতি বছর বর্ষাকালে এই একই ছবি দেখা যায় ওড়িশার সম্বলপুরে রাধাখোল ব্লকেও৷ এখানেও প্রতি বছর বৃষ্টির মরশুমে স্থানীয় পড়ুয়াদের জলোস্ফীত হরিহর নদ পেরিয়ে প্রাণ হাতে করে স্কুলে পৌঁছতে হয় ৷ এই নদী দুকূল ছাপিয়ে বয়ে যাওয়ার ফলে ভেঙে পড়ে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ ফলস্বরূপ সন্তানদের স্কুলে বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অভিভাবকদেরই প্রায় গলা পর্যন্ত ডুবে নদী পার হতে হয় ৷