জানা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিন নিতে গেলে কাউকে ইনঞ্জেকশন দিতে হবে না। নাকে দুই ফোঁটা ড্রপ দিতে হবে। এই ভ্যাকসিনটি শুক্রবার থেকেই টিকাদান অভিযানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যাঁরা কোভ্যাক্সিন কিংবা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাঁরাও চাইলে এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে বিশেষজ্ঞ কমিটি এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন করেছে। আপাতত এই ভ্যাকসিন শুধুমাত্র বেসরকারি হাসপাতালেই পাওয়া যাবে। তবে খুব শীঘ্রই সরকার এটিকে সরকারি হাসপাতালেও পৌঁছে দেবে বলে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দাম এখনও নির্ধারণ হয়নি।
advertisement
এই মুহূর্তে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্স, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এবং বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের কর্বেভ্যাক্স কোভিন পোর্টালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এবার নতুন ন্যাজাল ভ্যাকসিনও এই তালিকায় জুড়তে চলেছে।
প্রসঙ্গত, চিনের করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। শেষ কয়েক সপ্তাহে লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে চিনে। সেখানকার সরকারে সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। চিনের দেওয়া তথ্য নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই অবস্থায় ভারত-সহ একাধিক দেশও আগাম সর্তকতা নিচ্ছে। সূত্রের খবর, এয়ার সুবিধা ফর্ম ফের আবার ফিরিয়ে আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিনা-সহ বাকি দেশগুলি থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের জন্য এই ফর্ম নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন, আজ রানাঘাটে মমতা-অভিষেকের পাল্টা সভা শুভেন্দুর, কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?
আরও পড়ুন, ওমিক্রনের BF.7 ভ্যারিয়্যান্ট ভয়ঙ্কর সংক্রামক! করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশকে 'দুই' পরামর্শ মোদির
নিয়ম অনুযায়ী, অন্যান্য দেশ থেকে যে সকল যাত্রী এদেশে আসবেন, তাঁদের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিসিপিআর টেস্ট করাতে হবে। সেই রিপোর্ট দেখিয়ে তবেই তিনি এদেশে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, চিন থেকে ভারতে আসার সরাসরি বিমান পরিষেবা আপাতত স্থগিত রয়েছে। তবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতে বিমান পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে।