রামনাথ কোবিন্দকে লেখা চিঠির শুরুেতই তাঁর নীতিপরায়ণতা, সততা, সংবেদনশীলতা এবং রাষ্ট্রপতি পদে নিজের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনের জন্য রামনাথ কোবিন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি৷ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'স্বাধীনতার ৭৫ বছরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে দেশের ছোট একটি গ্রাম থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত আপনার ব্যক্তিগত সফর দেশের উন্নয়নকে যেমন তুলে ধরে, সেরকমই তা সাধারম মানুষের অনুপ্রেরণার মতো৷' পাশাপাশি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্যও রামনাথ কোবিন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
advertisement
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরেন বিশেষ সিল্ক শাড়ি, গোটা ইতিহাস লুকিয়ে আছে এরই মধ্যে
দু' পাতার এই চিঠিতে বার বারই দেশের প্রথম নাগরিক হিসেেব নেতৃত্ব েদওয়ার ক্ষমতা, বিচক্ষণতার জন্য রামনাথ কোবিন্দের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ আবার করোনা অতিমারির কঠিন সময়েও রাষ্ট্রপতির ভূমিকার প্রশংসা উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠিতে৷
প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, 'আপনি দেশের প্রথম নাগরিক ছিলেন৷ কিন্তু সবসময় দেশের দুর্বলতম নাগরিকের উন্নয়নের জন্য আপনার সমবেদনা এবং উদ্বেগ আপনার মধ্যে দেখতে পেয়েছি৷ দেশের সর্বোচ্চ পদে থেকেও আপনি মাটি এবং তার মানুষের সঙ্গে সংযোগ রেখে গর্ব অনুভব করেছেন, তাঁদের সমস্যার প্রতি সংবেদনশীল থেকেছেন৷ তাঁদের কী প্রত্যাশা, কী পরিবর্তন প্রয়োজন, তা আপনি যথার্থ ভাবে অনুধাবন করতে পারতেন৷'
আরও পড়ুন: জন্মের পর নাম ছিল 'পুটি', 'দ্রৌপদী' নাম দিয়েছিলেন তাঁর শিক্ষক, জানালেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি নিজেই
এর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি হিসেবে রামনাথ কোবিন্দের নম্রতারও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ একাধিকবার তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্যও রামনাথ কোবিন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ চিঠির শেষ দিকে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, 'সম্প্রতি আপনি ছাত্রছাত্রীদের যে পরামর্শ দিয়েছেন, তাতেই আপনার জীবনের উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়৷ তা হল জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজকেও সবসময় কিছু ফিরিয়ে দিতে হয়৷' প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, একসঙ্গে কাজ করার সময় প্রয়োজন হলেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে রামনাথ কোবিন্দের সুপরামর্শ পেয়েছেন তিনি৷
ভবিষ্যতেও প্রয়োজন হলেও একই ভাবে তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়ে কোবিন্দের সুস্থ জীবন এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷