করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে আচমকাই সারা দেশে অক্সিজেনের চাহিদা বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। শুরুর দিকে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার ছিল চারপাশে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালর দিকে। তবে অক্সিজেনের অভাব এখনো রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন দাবি করলেন, বিপদের দিনে ভারত নিজের ক্ষমতা বাড়িয়েছে। দেশে এখন আগের থেকে ১০ গুণ বেশি অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। করোনার এই প্রকোপকে তিনি তুফান বলে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বায়ু সেনা করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে দেশবাসীকে সবরকম সহায়তা করছে। গোটা দেশের তাঁদের প্রতি গর্ব হওয়া উচিত। করোনার ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্স যাঁরা যেমন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের এদিন কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এদিন আরও উল্লেখ করেছেন, বেশির ভাগ অক্সিজেন প্লান্ট দেশের ইস্টার্ন জোনে অবস্থিত। ফলে সারা দেশে চাহিদামতো অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়াটা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ট্যাংকার ও ট্রেন ড্রাইভারদের পরিশ্রমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন অক্সিজেন পৌঁছে যাচ্ছে।
advertisement
এদিন অক্সিজেনের সরবরাহের জন্য ট্যাঙ্কার ড্রাইভার এবং অক্সিজেন এক্সপ্রেসের লোকো পাইলটদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। অক্সিজেন এক্সপ্রেস-এর লোকো পাইলট সিরিশা গজনীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ''মা বোনেদের এই ব্যাপারটা শুনে গর্ব বোধ হবে। আমাদের দেশের একটি অক্সিজেন এক্সপ্রেস সম্পূর্ণ পরিচালনা করছেন মহিলারা। আজ আমি শিরিশাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ওর কাছে জানতে চাইব, এমন একটা বড় কাজ করার মোটিভেশন কোথা থেকে পেলেন! এমনিদিনে আপনি ভারতীয় রেলকে পরিষেবা প্রদান করেন। সারা দেশে এখন অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের কাজ করতে কেমন অনুভব হচ্ছে!'' সিরিশা প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরে বলেন, মা-বাবার থেকেই আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। ওটাই আমার সবথেকে বড় সাপোর্ট। তবে এই পরিস্থিতিতে সবাই সহযোগিতা করছে। দেড় ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার রাস্তা পার করে ফেলি। গ্রিন কার্ড পেয়েছি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের পাশে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।''