সোমবার কানপুরের জনসভা থেকে বিরোধীদের এভাবেই বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শাসক-বিরোধী হট্টগোলে কার্যত ভেস্তে গিয়েছে সংসদের সদ্যসমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশন। যার জন্য বিজেপির ঔদ্ধত্যকে দায়ী করেছে কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। পাল্টা আক্রমণ করতে এদিনের সভামঞ্চকেই বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী। শীত অধিবেশন পণ্ড হওয়ার সব দায় চাপান বিরোধীদের ঘাড়েই।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ছিল, নোট বাতিলের জেরে তৈরি হওয়া ভোগান্তি ৫০ দিনেই মিটে যাবে। সেই সময়সীমা শেষ হতে বেশিদিন আর বাকি নেই। ৫০ দিনের মধ্যে জনতার দুর্দশা যে মিটবে না, আগেই হাবেভাবে তা বুঝিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তা সত্ত্বেও এদিন নিজের পুরনো অবস্থানে অনড় ছিলেন মোদি।
advertisement
বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়ে যাবে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা। প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের আঁচে কি উত্তরপ্রদেশ হাতছাড়া হবে বিজেপির? নাকি ডিমনিটাইজেশনকে হাতিয়ার করেই লখনউয়ের তখ্ত দখল করবে গেরুয়া শিবির? আশঙ্কা রয়েছে খোদ বিজেপির অন্দরেই। এই আশঙ্কার আঁচ পেয়েই উত্তরপ্রদেশের ভোটযুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী।