বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এনআইএ এর ডিজি দিনকার গুপ্তা জানান, প্রথম দিনের দ্বিতীয় পর্বে সন্ত্রাসবাদে অর্থের যোগান বন্ধ করা নিয়ে আলোচনা হবে। দুপুরের পর সম্মেলনে যোগদানকারী দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি আলাপ আলোচনার পর্ব থাকবে। দ্বিতীয় দিনে সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। দ্বিতীয় দিনে সন্ত্রাসবাদে প্রযুক্তির ব্যবহার, সামাজিক মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে টাকা তোলা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও আলোচনার শেষ পর্বের বিষয়বস্তু থাকবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এই পর্বে উপস্থিত থাকবেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
advertisement
সাংবাদিক সম্মেলনে একটি প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের বিশেষ সচিব সঞ্জয় ভার্মা জানান, চিনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত চিন আসার ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানায়নি। ২০১৮ সালে প্রথম এই সম্মেলন হয় ফ্রান্সে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় সম্মেলন হয় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। তবে তারপর করোনা চলে আসায় ভারত তৃতীয় সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেনি।
এই সম্মেলনে চিন পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান গরহাজির থাকছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ পাকিস্তান সন্ত্রাসে অর্থের যোগান দেয়, আফগানিস্তান থেকে চালান হয় মাদক। অন্যদিকে চিনের সমর্থন রয়েছে পাকিস্তানের প্রতি। ফলে এই তিন দেশের অনুপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ৭৫টি দেশ ছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত থাকবে ইন্টারপোল সহ বেশ কয়েকটি এজেন্সি এবং এনজিও। সন্ত্রাস দমনে সমস্ত পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই সম্মেলন থেকে কোনও দলিল তৈরি হবে কিনা সে প্রশ্নের জবাবে দিনকার গুপ্তা জানান, সেটা নির্ভর করছে সম্মেলনের আলোচনার নির্যাসের ওপর।
RAJIB CHAKRABORTY