কলকাতা: আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। এই দিনটিকে ভিন্ন মাত্রায় পালনের জন্য এক নতুন স্বাস্থ্য অভিযান- ‘সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার’ -এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হল নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা, সচেতনতা এবং সহজলভ্য চিকিৎসায় জোর দেওয়া। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি হতে পারে।
advertisement
দেশজুড়ে একযোগে ৭৫ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনের মাধ্যমে একটি নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। এই স্বাস্থ্য শিবিরগুলি আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত হবে। মহিলাদের ও শিশুদের স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণ করাই এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য। দিল্লি এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে একাধিক বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রক্তদান শিবির ও নতুন হাসপাতাল ব্লকের উদ্বোধন উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: ‘কান খুলে শুনে নিন…,’ বিহার থেকে বাংলার নাম তালিকায় রেখেই, মোদি যা বললেন…স্পষ্ট বার্তা
এর পাশাপাশি, দেশজুড়ে ১৫ দিনের ‘সেবা পাক্ষিক’ পালিত হবে। এই প্রকল্পের একটি অংশ হিসেবেই সেপ্টেম্বর মাসকে ‘পুষ্টি মাস’ হিসেবে পালন করা হবে। এই সময়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোতে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের পরীক্ষা, বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ এবং পুষ্টিবিষয়ক সচেতনতা কর্মসূচি চালানো হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি অনুযায়ী, ভারতের স্বাস্থ্য সূচকে এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
মাতৃমৃত্যু হার ২০১৪ সালের ১৩০ থেকে কমে ৯৩-এ দাঁড়িয়েছে। নবজাতকের মৃত্যু হার ২৬ থেকে কমে ১৯-এ এবং পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার ৪৫ থেকে কমে ৩১-এ নেমে এসেছে। সরকারের আশা, এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ দ্রুত অর্জন করা সম্ভব হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেছেন, “সুস্থ নারী মানেই শক্তিশালী পরিবার। এই অভিযান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। মহিলাদের স্বাস্থ্য ভাল হলেই একটি সুস্থ পরিবার এবং শক্তিশালী সমাজ গড়ে উঠবে।” তিনি এই উদ্যোগে বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এই উদ্যোগকে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হচ্ছে।