১। মোদি স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণকারী প্রথম প্রধানমন্ত্রী। শুধু তা-ই নয়, কংগ্রেসের বাইরে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে এই কুর্সিতে রয়েছেন। ২০০১ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গুজরাতের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ডও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
আরও পড়ুনঃ ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়া লক্ষ্য, মোদির জন্মদিনে সেবা পক্ষ-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি বিজেপির
advertisement
২। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মোদির নেতৃত্বেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিজেপি। শেষ বার একটি রাজনৈতিক দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল ১৯৮৪ সালে - ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর কংগ্রেস। প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে বিপ্লব এনেছেন মোদি। অন্যরা তাঁকেই অনুসরণ করেছে।
৩। মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম তিন বছরে ১,২০০টি অপ্রচলিত আইন বাতিল করেছেন। তার আগে ৬৪ বছর ধরে অন্যান্য সরকার মাত্র ১,৩০০টি আইন বাতিল করে উঠতে পেরেছিল। মোদির প্রধানমন্ত্রীত্বেই স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও বিদ্যুৎহীন এমন ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে।
৪। মোদি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন - বাদশাহ আব্দুল আজিজ সাশ। এ-ছাড়াও তিনি রাশিয়ার শীর্ষ পুরস্কার (অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোস্টেল দ্য ফার্স্ট-কল্ড), সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (জায়েদ পদক), আফগানিস্তান (আমির আমানুল্লাহ খান পুরস্কার), প্যালেস্তাইন (প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের গ্র্যান্ড কলার) এবং মলদ্বীপ (নিশান ইজ্জুদ্দিনের নিয়ম)। ২০১৮ সালে, তিনি শান্তি ও উন্নয়নে অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ সিওল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ সদা কর্মব্যস্ত প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রইল তাঁর ফিটনেস রহস্য
৫। মোদির ডাকে সাড়া দিয়েই ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ পালনের কথা ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। প্রথম বারের মতো ১৭৭টি দেশ একত্রিত হয়ে ২১ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব পাশ করে।
৬। মাত্র ৮ বছর বয়সে আরএসএস-এ যোগ দেন মোদি। তাঁর ছোটবেলার শিক্ষকেরা বলেন, থিয়েটারের প্রতি মোদির প্রবল আগ্রহ ছিল। নাম-ডাক ছিল বিতর্ককারী হিসেবেও। ভালো সাঁতারও কাটতেন তিনি।
৭। জরুরি অবস্থার সময় আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সময় সন্ন্যাসী এবং শিখের ছদ্মবেশে ঘুরতেন মোদি। এমনকী লিফলেট বিলি করে বিক্ষোভের আয়োজনও করেন। সরকার বিরোধী কর্মীদের জন্য একটি সেফ-হাউসের নেটওয়ার্ক তৈরি এবং তাদের জন্য তহবিল সংগ্রহও করতেন।
আরও পড়ুনঃ মোদির জন্মদিনে ৫৬ ইঞ্চির থালি! শেষ করলেই লাখ লাখ টাকা পুরস্কার
৮। সাফল্যের সঙ্গে লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রা এবং এমএম জোশির একতা যাত্রা সংগঠিত করার পরে, শঙ্করসিংহ বাঘেলার সঙ্গে বিবাদের কারণে মোদি ১৯৯২ সালে রাজনীতি থেকে বিরতি নেন। ১৯৯৪ সালে আডবাণীর পীড়াপীড়িতে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি।
৯। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় কার্যকালের সময় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য হয়। গান্ধীনগরে তিনি ২০০টি মন্দির ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এতে বিবাদ বাড়ে।
১০। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গুজরাতে ভূ-গর্ভস্থ জল এবং পরবর্তী কালে কৃষিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য মোদিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।