এদিন তিনি বলেন, ''আমি সব রাজ্যেই দেখেছি যে মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকে রয়েছেন এবং আমরা পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে নির্বাচনে জিতব। এই পাঁচ রাজ্যের মানুষই বিজেপিকে তাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন।'' পাঁচ রাজ্য হলেও যাবতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election 2022)। স্বাভাবিক কারণেই বিজেপি-র মূল লক্ষ্যই যোগী আদিত্যনাথকে ফের উত্তরপ্রদেশের মসনদে প্রতিষ্ঠা করা। তাই উত্তর প্রদেশকেই পাখির চোখ করছেন নরেন্দ্র মোদিও।
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, উত্তর প্রদেশের মানুষ ইতিমধ্যেই 'এক বার আও, এক বার যাও' (একবার ক্ষমতায় এসো তারপর যাবে) পুরনো তত্ত্বকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে মানুষ বিজেপির কাজ দেখেছে। তাই জনগণ আমাদের উত্তর প্রদেশে ২০১৭ সালেও নির্বাচিত করেছিল। আবার একইভাবে ২০১৯ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আরও কাজ দেখে এবার ২০২২ সালেও মানুষ উত্তর প্রদেশে আমাদের গ্রহণ করবে।''
আরও পড়ুন: ইঞ্জেকশন নয়, এবার ট্যাবলেটেই করোনার ভ্যাকসিন! ভারতে শুরু হচ্ছে ট্রায়াল
নরেন্দ্র মোদির জবাব, ''আমরা জয়ী হই বা হারি, আমাদের জন্য নির্বাচন একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আমরা নতুন নিয়োগের সুযোগ পাই এবং আত্মদর্শনের সুযোগ পাই। এটাকে আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করি।'' এরপরই তিনি নিশানা করেন কংগ্রেসকে। বলেন, ''যখন একটি পরিবার বংশ পরম্পরায় একটি পার্টি পরিচালনা করে, সেখানে কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থই থাকে, গতিশীলতা নয়। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুরু করে হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু সব জায়গাতেই একই প্রবণতা দেখতে পাবেন। পরিবারভিত্তিক রাজনীতি গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু।''