এদিকে শনিবার মোদি-জিনপিংয়ের একান্তে বৈঠকদ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে কথা হতে পারে ৷ এই বৈঠক হবে তাজ ফিশারম্যানস কোভ রিসর্ট ও স্পাতে ৷ এরপরে সচিব পর্যায়ের আলোচনা হবে ৷ প্রধানমন্ত্রী জিনপিংয়ের সম্মানে আয়োজন করবেন বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের ৷ এরপর দুই পক্ষই নিজেদের বিবৃতি দেবে ৷
শুক্রবারের ঘরোয়া আলোচনা প্রায় ১৫০ মিনিট চলে ৷ যা নির্ধারিত যে সময় আলোচনার জন্য বরাদ্দ ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ৷ দু পক্ষই জানিয়েছে আলোচনা ছিল খোলামেলা এবং তাতে হৃদয়ের ছোঁয়া ছিল ৷
advertisement
আরও পড়ুন - একটা ইনিংস আর সাতটি রেকর্ড! কুর্নিশ বিরাট কোহলি
প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার তামিলদের ট্র্যাডিশানাল পোশাক ভেসতি পরিধান করেছিলেন ৷ তাতে সাদা শার্ট ও অঙ্গবস্ত্রম পরতে হয় ৷ তাঁরা হেরিটেজ স্থল অর্জুন, কৃষ্ণ বিভিন্ন স্মৃতিসৌধ , পাশাপাশি মহাবলীপুরমের বিখ্যাত সমুদ্র তীরস্থ রথ মন্দির দেখেন ৷
জিনপিংয়ের সঙ্গে রথমন্দির ঘুরে দেখার পর UNESCO ঐতিহাসিক সাইট দেখানোর আনন্দ ভাগ করে নিতে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রবিশ কুমার এই শুক্রবারের বৈঠককে ফলপ্রসূ ও কার্যকারী বলে জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন - আত্মহত্যা করলেন ৪০ বছরের ব্যক্তি, শব নিতে পৌঁছলেন সাত স্ত্রী !
ঐতিহাসিক সময় থেকে তামিলনাড়ু ও চিনের যোগাযোগ রয়েছে ৷ এই সমুদ্রপথেই দু‘দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ এমনটাই জানিয়েছে চিনা সংবাদমাধ্যম ৷
শুক্রবার বিকেলে এয়ার চায়নার বোয়িং ৭৪৭ বিমানে চেন্নাই পৌঁছন চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং ৷ সেখানে তাঁকে রেডকার্পেটে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় ৷ হাজির ছিলেন তামিননাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ইকে পালানিস্বামী ৷ এছাড়াও ছিলেন রাজ্যপাল বানাওয়ারিলাল পুরোহিত ৷ চিনা রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য ছোট একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়েছিল ৷
ডোকলামে ভারত -চিন ৭৩ দিনের সংঘাতের পর প্রথম ঘরোয়া বৈঠক হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি ও জিনপিংয়ের, সেটা হয়েছিল হুয়ানে ৷ আর তার পর এটাই এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে ঘরোয়া বৈঠক ৷
তিনদিন আগে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পরেই জিনিপংয়ের এটা প্রথম ভারত সফর ৷ বুধবারই চিনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল পাকিস্তানের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার কোনও ইস্যুকে সমর্থন করবে না তারা ৷ বরং তারা সবভাবে তাদের পাশে থাকবে ৷ এটাও তারা বলেছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যের সব ইস্যু শান্তপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত ৷
এর উত্তরে ভারত জানিয়েছিল , ‘ভারত নিজেদের এই মতে অনড় যে জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ৷ চিন আমাদের পুরো বিষয়টি জানে ৷ ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে অন্য কোনও দেশের কথা বলার কোনও এক্তিয়ার নেই ৷ ’
আরও দেখুন