আফতাবের নার্কো টেস্ট করতে চেয়ে দিল্লির এক আদালতে গত সোমবারই একটি আবেদন দাখিল করেছিল দিল্লি পুলিশ। অনুমতিও মিলেছিল। কিন্তু সবকিছু ঠিক থাকলেও শেষমেশ এখনই নার্কো অ্যানালিসিসের পথে হাঁটেনি পুলিশ। উপরন্তু, নার্কো টেস্ট নিয়ে যাতে কোনও রকমের বাড়তি প্রশ্ন বা জটিলতা তৈরি না হয়, সেই রাস্তাও আগেভাগেই পরিষ্কার করে রাখতে চায় তারা। আফতাবের মানসিক অবস্থা কেমন, তাঁর কোনও মনোরোগ রয়েছে কি না, আফতাবের বয়ানের সত্যাসত্য কতটা, তা যাচাই করতে তাঁর পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চান তদন্তকারীরা।
advertisement
পাশাপাশি, আফতাবের বন্ধুরা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, আফতাব মাঝে মাঝেই নেশা করত। মাদকাসক্ত ছিল। মাদকাসক্ত অবস্থাতেই সে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন- কলকাতার আকাশে ‘তিমি’! বিমানটিকে দেখতে ভিড় জমালেন যাত্রীরা
শ্রদ্ধার খুনের ঘটনায় আফতাবের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে তৎপর তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধার শরীরের ১৩টি টুকরো উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষা করানোও হচ্ছে। অন্যদিকে, আদালতে আফতাবের আইনজীবী দাবি করেছেন, ঝগড়াঝাটির মাঝে রাগের মাথায় এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছিলেন আফতাব। ইচ্ছে করে নাকি কিছুই করেননি। শ্রদ্ধাকে খুন করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না।যদিও আফতাবের এই দাবি কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা পরিষ্কার হবে পলিগ্রাফ টেস্টের পরেই।
শ্রদ্ধা খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন জনৈক আইনজীবী। মঙ্গলবার সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ। দিল্লি পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, শ্রদ্ধা খুনের তদন্তের ৮০ শতাংশই তাঁরা সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। তাহলে কি শ্রদ্ধা কাণ্ডের চার্জশিট এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা?