সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরও অশান্ত ভূস্বর্গ। মঙ্গলবার, ভোর তখন সাড়ে পাঁচটা। সীমান্ত থেকে মাত্র পঁচিশ কিলোমিটার দূরে নগরোটায়, সেনাবাহিনীর ১৬ কর্পসের ছাউনিতে আচমকা হামলা চালায় জঙ্গিরা।
উরির ছকেই, মঙ্গলবার ভোরবেলা নগরোটায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিরা সেনাপোশাকে ছিল। তারা সেনাছাউনি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। ছোড়া হয় গ্রেনেডও।
পালটা জবাব দেয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয় জম্মু-কাশ্মীর জাতীয় সড়ক ও স্কুল। সেনাছাউনির অস্ত্রাগার দখল করাই জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল। সেনার জঙ্গিদমন অবশ্য সহজ হয়নি। দফায় দফায় চলে গুলির লড়াই। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নামানো হয় প্যারা কমান্ডো। লড়াইয়ে খতম হয়েছে জঙ্গিরা।
advertisement
জঙ্গিদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, এখানকার অফিসার্স মেসে ঢুকে সকলকে পণবন্দি করা। বিশেষ করে অফিসারদের স্ত্রী, সন্ত্রান ও পরিবারকে পণবন্দি করে ব্যাপক সন্ত্রাসের সৃষ্টি করা। তবে পরে তাদের উদ্ধার করা হয় ৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মেজর-সহ দুই জওয়ানের ৷
তিন জঙ্গির দেহ উদ্ধআর হলেও ঠিক কতো জন ক্যাম্পে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷
মঙ্গলবার, সাম্বা সেক্টরের চামিয়ালে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ধরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। বিএসএফ অবশ্য তা আটকে দেয়। লড়াইয়ে কয়েকজন অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়েছে। গুলি বিনিময়ে এক ডিজিপি-সহ ছয় জওয়ান আহত হয়েছেন। এদিনই দায়িত্ব নেন নতুন পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া।
