একজন নীতিন বিয়ানি, অন্যজন পুজা ৷ দু’জনেই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়র ৷ মাস গেলে কম করেও ১৫ লক্ষ টাকা মাইনে ৷ নিশ্চিন্তির জীবন ৷ কিন্তু চায়ের প্রেমে চার দেওয়ালের সেই সুখের জীবনকে টেনে নামালেন রাস্তায় ৷ নাম দিলেন ‘চায়ে ভিলা’ ৷ বিগত পাঁচ মাস ধরে নাগপুরের সিএ রোডের ধারে রমরম করে চলছে নীতিন-পুজার ‘চায়ের গ্রাম’ ৷
advertisement
আরও পড়ুন: বাবা কোটিপতি হিরে ব্যবসায়ী, সন্ন্যাস নিল ১২ বছরের ছেলে !
কেমন এই ‘চায়ে ভিলা’ ৷ কী কী নতুনত্ব রয়েছে আধুনিক এই চায়ের দোকানে ? সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নীতিন জানান, ১৫ রকমের চা-কফি পাওয়া যায় তাঁদের দোকানে ৷ সঙ্গে পাওয়া যায় রকমারি স্ন্যাকও ৷ জোমাটোর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপেও অর্ডার নেওয়া হয় ৷ এমনকী চা-কফি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে ৷ এ জন্য আলাদা আলাদা পাত্রের ব্যবস্থা রয়েছে ‘চায়ে ভিলা’য় ৷
নীতিন জানাচ্ছেন, ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল, অফিসে প্রতিদিন তাঁদের চা-কফি পার্সেল করে পাঠানো হয় ৷
আরও পড়ুন: নোট ভোগান্তি চলবে আরও ৭ দিন !
চায়ের দোকান শুরুর আগে ১০ বছর নামি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়র ছিলেন নীতিন ৷ কিন্তু ইচ্ছে ছিল নতুন কিছু করার ৷ তাই ভালবাসার জায়গাটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া ৷
অফিস ফেরতা প্রায়ই ‘চায়ে ভিলা’য় এসে বসেন হৃতেশ ৷ তিনি বললেন, ‘‘পরিবেশটা এত সুন্দর, যে এখানে সময় কাটাতে খুব ভাল লাগে ৷’’
চায়ের গ্রামের মালিক নীতিন-পুজা এখন সুখী দম্পতি ৷