কয়েক সপ্তাহ আগে আগে সরুটিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ায় সঙ্গীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল গ্রামবাসীরা। নাগপঞ্চমীর দিন তারই ‘বদলা’ নিতে ওই একই বাড়িতে ঢুকল নাগিনী। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতেই ছিল সেই নাগিনী। রাগে -রোষে ফোঁসফোঁস করে তেড়ে যাচ্ছিল গ্রামবাসীদের দিকে। পরে বনবিভাগের আধিকারিকেরা সাপটিকে উদ্ধার করেন।
নাগিনী কীভাবে সেই গ্রামের মানুষদের দিকে তেড়েতেড়ে যাচ্ছিল সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। দেখে নিন ভাইরাল ভিডিও৷ (Watch viral reel)
advertisement
প্রায় মাসখানেক আগে সরুটিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে সাপ ঢুকে পড়ে। ভয় পেয়ে সাহায্য চান গৃহকর্তা। পরে গ্রামবাসীরা এসে মেরে ফেলেন সাপটিকে। এর পর নাগপঞ্চমীর দিন ওই একই বাড়িতে ঢুকে পড়ে একটি নাগিনী। গৃহকর্তাকে দেখে ফোঁস ফোঁস করতে থাকে সে। গ্রামবাসীরা এলে তাঁদের দিকেও তেড়ে যায়। গ্রামবাসীদের দাবি, ১৫ দিন আগে যে সাপটিকে মেরে ফেলা হয়েছিল, তারই জোড়ের সঙ্গী ওই নাগিনী। সাপের মৃত্যুর ‘বদলা’ নিতে হানা দিয়েছিল সে। ২৪ ঘণ্টা ধরে সেই বিশেষ বাড়িটিতে ঢুকেছিল। এর ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত জেগে সাপটিকে পাহারা দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে গ্রামবাসীরা বন দফতরে খবর দেন৷
তবে বন দফতরের কর্তারা স্থানীয় মানুষের বিশ্বাসের কথাকে আমল দিতে রাজি নন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, সাপ যেহেতু গর্তে বাস করে, বর্ষাকালে যেহেতু সেই সব জলে ভরে যায় তাই সাপ নিজেদের বাসা থেকে বেরিয়ে আসে৷ পাশাপাশি নিজেদের খাবারের খোঁজেও এদিক-সেদিক করে৷ বন দফতরের কর্মীদের দাবি এই সাপটিও সেরকমভাবেই খাবারের খোঁজে বেরিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। সাপটি একটি নাগিনী ছিল৷
সরুটিয়া গ্রামে সাপের যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, একটি সাপকে ধরার চেষ্টা করছেন বন দফতরের আধিকারিক এবং গ্রামবাসীরা। কিন্তু সাপটি ফণা তুলে ফোঁস ফোঁস করতে করতে তেড়ে যাচ্ছে সকলের দিকে। ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে ‘মনোজ শর্মা লখনউ ইউপি’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে।
এমনিতেই সাপ নিয়ে মানুষের মধ্যে তীব্র আগ্রহ৷ তাই ভিডিওটি বা রিলটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে৷ বিশেষত নিজের পার্টনার সাপের মৃত্যুতে নাগিনী বদলা নিতে এসেছে এই মতবাদটি আরও আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে নেটিজেনদের মধ্যে৷