ইতিমধ্যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নাগাল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী হর্নবিল উৎসব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই উৎসবে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন পর্যটকরা আসতেন, অংশগ্রহণ করত বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়, সবই এ বারের মতো বন্ধ থাকছে। এই সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানোর পর জরুরি বৈঠকে নাগাল্যান্ড সরকারের মন্ত্রিসভা। সেখানেই আফস্পা সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলার কথা বলা হয়। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বলেন, আফস্পা সরিয়ে নিতেই হবে, কারণ এই বাহিনীর কারণে রাজ্য দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রণা ভোগ করছে। পাশাপাশি, মৃত গ্রামবাসীদের শেষকৃত্যে এসে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এক কালো দাগ পড়ে গেল এই ঘটনায়। একই ভাবে আফস্পা সরিয়ে নেওয়া কথা উঠে আসতে থাকতে বিজেপি-র অন্দর থেকেও। একই দাবি তোলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
advertisement
আরও পড়ুন: নাগাল্যান্ড কাণ্ডের পর ফের বিতর্কে আফস্পা, কেন বার বার সমালোচিত এই আইন?
সোমবার সংসদে দেওয়া বিবৃতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি, এটাও বলা হচ্ছে যে একটি গাড়ি থামাতে বলা হয়েছিল, সেটি না থামানোতেই গুলি চালায় সেনা। ভুল করে গুলি চালানো হয়েছে, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই বিষয়ে সেনার তরফে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা হবে এই ঘটনার।
আরও পড়ুন: নাগাল্যান্ড নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
আপাতত বিতর্কিত আফস্পা কার্যকর আছে নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুর (ইম্ফলের সাতটি বিধানসভা ক্ষেত্রে বাদে), আংশিক অরুণাচল প্রদেশে। এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, ত্রিপুরা ও মেঘালয়কে। এই আইনের বলে সেনা সামান্য সন্দেহের কারণেই গ্রেফতার করা বা গুলি চালানোর বড় পদক্ষেপ নিতে পারে। এই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার কর্মী প্রতিবাদ করে আসছে।