দিল্লি পুলিশের ডিএসপি (দক্ষিণপূর্ব) আরপি মিনা জানান, এরপর তাঁকে ফোর্টিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মারা যান।
ডিএসপি আরও জানান, “ঘটনাস্থলে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগের একটি দলকে পাঠানো হয়। এই মৃত্যু নিয়ে তদন্ত চলছে। পরিবারের সদস্যদের এবং ঘটনার সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে বাড়ির কাছাকাছি সিসিটিভি ফুটেজগুলি ।
advertisement
শনিবার সকালে দিল্লির এইমস্-এ জর্জ মুথুটের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। জর্জ মুথুটের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার জন্য এইমস্-এর ফরেনসিক বিভাগের তিন সিনিয়ার ডাক্তারকে নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ সুধীর কুমার গুপ্তা বলেন, এই মৃত্যু উঁচু কোনও স্থান থেকে পড়ে হয়েছে, তাই একে “স্বাভাবিক মৃত্যু” বলে ধরা হচ্ছে না। মৃত্যুর সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ড. গুপ্তা বলেন, তাঁরা ময়নাতদন্ত ভিডিওগ্রাফ করেছেন। আরও ল্যাবরেটরি টেস্ট, হিস্টোলজিক্যাল টেস্ট এবং কেমিক্যাল টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কী ভাবে মৃত্যু হল, সে ব্যাপারে এখন কিছু বলা হচ্ছে না। ওই সব পরীক্ষার পরেই তাঁরা নিশ্চিত করে বলত পারবেন, এটা আত্মহত্যা, না দুর্ঘটনা, না কি খুন।
ড. গুপ্তা আরও জানান, এইমস্-এর ফরেনসিক টিম সোমবার থেকে তাঁদের মূল্যায়ন শুরু করবে। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে একটা সিদ্ধান্তে তাঁরা পৌছোতে পারবেন বলে মনে করছেন। এটি একটা নিরপেক্ষ রিপোর্ট হতে চলেছে।
সোনা বন্ধক দিয়ে ঋণের পারিবারিক ব্যবসায় চূড়ান্ত সাফল্য নিয়ে আসেন মুথুট। প্রথমে সংস্থার উচ্চপদে যোগ না দিয়ে সাধারণ অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে উন্নতি করেন দ্রুত। ১৯৭৯ সালেই মুথুট গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন তিনি, ’৯৩-তে গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন।