জানা গিয়েছে, জেলা আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষই মুসকান ও সাহিলের জন্য এই আইনজীবীর ব্যবস্থা করেছে৷ জানানো হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তেরই আইনি সাহায্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে৷ সেই অনুযায়ীই রেখা জৈনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ খুব শিগগিরই জেলে গিয়ে মুসকান এবং সাহিলের সঙ্গে দেখা করবেন রেখা জৈন৷ বিনামূল্যেই এই আইনি সাহায্য পাবে তারা৷
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীর কুমারিত্ব পরীক্ষা করাতে চান স্বামী, অভিযোগ পরকীয়ার! আর্জি শুনে কী বলল ছত্তীসগড় হাইকোর্ট?
একা রেখা জৈন নয়, তাঁর সঙ্গে আরও তিন জন আইনজীবী রেখা জৈনের সহকারী হিসেবে এই মামলায় কাজ করবেন৷ আইনজীবী চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছিল মুসকান এবং সাহিল৷
২০১৬ সালে মুসকানের সঙ্গে সৌরভের বিয়ে হয়৷ ২০১৯ সালে তাঁদের একটি কন্যাসন্তান হয়৷ ২০১৯ সালেই স্কুলের বন্ধুদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সাহিলের সঙ্গে ফের যোগাযোগ হয় মুসকানের৷ ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের উদ্যোগেই মেরঠ শহরের একটি শপিং মলে স্কুলের বন্ধুদের পুনর্মিলনের একটি অনুষ্ঠান হয়৷ সেখানেই বহু বছর পর সাহিলের সঙ্গে ফের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয় মুসকানের৷ আবারও শুরু হয় বন্ধুত্ব৷ কয়েকদিনের মধ্যে যে বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়৷
কিছুদিনের মধ্যেই স্ত্রীর এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন সৌরভ৷ একটা সময়ের পর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ডিভোর্স মামলাও করেন তিনি৷ স্ত্রীর এই বিশ্বাসঘাতকতায় কিছুটা হতাশ হয়েই ফের একবার মার্চেন্ট নেভির চাকরিতে যোগ দিয়ে বিদেশে চলে যান সৌরভ৷ আর এই সুযোগেই আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে সাহিল এবং মুসকান৷ এরই মধ্যে মুসকানকে ড্রাগসের নেশাও ধরিয়ে ফেলে সাহিল৷ ফলে মুসকানের কাছে সৌরভ পথের কাঁটা হয়ে ওঠে৷
মেয়ের জন্মদিন পালন করতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে লন্ডন থেকে ফেরেন সৌরভ৷ তখনই তাঁকে খুনের ছক কষে ফেলে মুসকান এবং সাহিল৷ ৩ তারিখ রাতে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সৌরভকে আচ্ছন্ন করে ফেলে মুসকান৷ এর পরই নিজেদের ভাড়া বাড়িতে সাহিলকে ডেকে নেয় সে৷ এর পর অসহায় সৌরভের উপরে ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দু জনে৷ সৌরভের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কোপাতে থাকে দুই অভিযুক্ত৷ খুনের পর মুসকান এবং সাহিল মিলে সৌরভের দেহ টুকরো টুকরো করে৷