সেই পুরভোট জিততে এদিন থেকেই টানা ১০-১২ দিনের জনসংযোগ যাত্রার সূচনা করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রচারের জন্য ত্রিপুরায় পৌঁছে গিয়েছে 'দিদির দূত' গাড়ি। সেই গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি সাংসদ সুস্মিতা দেবের উপর এদিনই আবার হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও তা অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। আর এরই মধ্যে ত্রিপুরার পুরসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়ে দিল অনেকটাই।
advertisement
আরও পড়ুন: সাংসদ পদে পদত্যাগ সাঙ্গ, বাবুল সুপ্রিয়কে এবার বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল!
'দিদির দূত' গাড়ি করেই পশ্চিমবঙ্গের জনমুখী কর্মসূচিগুলিকে ত্রিপুরার মানুষের কাছে তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। সেই সূত্রেই এদিন আগরতলায় মিছিলও করে তাঁরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, দলে আসা দীর্ঘদিনের বিধায়ক সুবল ভৌমিকরা। তারপরই সুস্মিতা দেব ও 'দিদির দূত'-এর উপর হামলা চলে। এরপরই গর্জে উঠে ট্যুইটারে বিপ্লব দেবকে নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, ''রাজ্য সরকার এক নায়কতন্ত্র চালাচ্ছে গোটা ত্রিপুরা জুড়েই৷ মানুষ আমাদের কাছে আসার আগে, আমরা মানুষের কাছে চলে যাব৷ এটাই আমাদের জনসংযোগ।'' অপরদিকে, স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, ‘‘মানুষ অত্যাচারিত হচ্ছেন ত্রিপুরায়, আমাদের কর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না।’’ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘ আসল বিপ্লব ত্রিপুরায় এবার শুরু হবে। বিপ্লব দেব ও তার সরকার আমাদের ভয় পেয়েছে।’’
আরও পড়ুন: বিধানসভার আগে ত্রিপুরার পুরভোটে জয় চাই, নতুন 'হাতিয়ার' নিয়ে পথে তৃণমূল
শুক্রবার থেকে যে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল, তার মূল স্লোগান হল 'ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল'। কালীপুজোর আগেই এই জনসংযোগের কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। তবে, এত দ্রুত ত্রিপুরায় পুরভোট হওয়ার কথা ছিল না। ২০২২-এ পুরভোট হবে ধরে নিয়েই এগোচ্ছিল তৃণমূল। কিন্তু হঠাৎই সামনের মাসেই রাজধানী আগরতলা সহ ২০টি পুরসভার ভোট ঘোষণা করে দিল ত্রিপুরার রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে তৃণমূলের তৎপরতা এবার আরও বাড়ানোর সময় চলে এল। সেখানে দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সুবল ভৌমিককে। তাঁর নেতৃত্বে গতকাল প্রায় দু' ঘণ্টার বৈঠকের পর আগরতলায় সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ''ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল' এই স্লোগান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ভিশন'কে মানুষের সামনে তুলে ধরা ধরছি আমরা। তার জন্য রাজ্যের ৫৮ ব্লক এবং ১৬টি পুর এলাকায় আমরা জনসংযোগ যাত্রা করছি। পশ্চিমবঙ্গের মতো কেন এরাজ্যেও তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার দরকার, তা মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করব।'