রেকটি আচমকাই বিদ্যুৎ হারিয়ে একই জায়গায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থাকে, ফলে প্রায় ৫০০ যাত্রী বিপাকে পড়েন। উঁচু করিডরে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি, আর সেই পরিস্থিতিতে দমকল বাহিনী তিনটি হাইড্রোলিক ল্যাডার ব্যবহার করে জানালা ভেঙে যাত্রীদের উদ্ধার করে।
রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! ২২আগস্ট থেকে চালু হচ্ছে নতুন লোকাল ট্রেন! কোন রুটে দেখে নিন
advertisement
সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ চেম্বুর ও ভক্তি পার্ক স্টেশনের মাঝখানে আটকে যায় ওই মনোরেল। ট্রেনের ভিতর থেকে তোলা ভিডিওতে দেখা যায়, শ্বাসকষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় যাত্রীরা হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করছেন, জানালা ভাঙার চেষ্টা করছেন।
উদ্ধারের পর বেশ কিছু যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্ট ও অসুস্থতার অভিযোগে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
জরুরি পরিস্থিতি সামলাতে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। দমকল বিভাগ ক্রেন নামিয়ে যাত্রীদের একে একে নামিয়ে আনে। পুলিশও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কিছু যাত্রী এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে ছিলেন, সেই সময় ইঞ্জিনিয়াররা ট্রেনের কামরা খোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
সকালে ক্লাস নিয়েছিলেন অঙ্কের স্যর, টিফিনের পরেই স্কুলের দু’তলার ১৮ নম্বর ঘরে তাঁর মর্মান্তিক পরিণতি!
মহা মুম্বই মেট্রো অপারেশন কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়, এটি শুধুমাত্র সামান্য বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ঘটেছে। তাঁদের বক্তব্য— “আমাদের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স টিম ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে কাজ করছে। খুব দ্রুতই সমস্যা সমাধান হবে। ওয়াডালা থেকে চেম্বুর পর্যন্ত পরিষেবা একটি লাইনে স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।”
এদিকে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস আশ্বাস দেন যে সমস্ত যাত্রী নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন এবং আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তিনি বলেন—
“কিছু প্রযুক্তিগত কারণে মনোরেল চেম্বুর ও ভক্তি পার্কের মধ্যে থেমে গিয়েছে। এমএমআরডিএ, দমকল, পুরসভা সহ সব সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যাত্রীদের নিরাপত্তাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। তদন্তও করা হবে কেন এই ঘটনা ঘটল।”
বৃহন্মুম্বই পুরনিগম (বিএমসি)-এর তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যেই চার-পাঁচটি বেস্ট বাস পাঠানো হয়েছে। কয়েকজন আটকে পড়া যাত্রী সরাসরি বিএমসির ১৯১৬ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান। সেই খবর পেয়ে দমকল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি স্নর্কেল গাড়ির সাহায্যে উদ্ধারকাজ শুরু করে।