প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক রাজেশ তাঁর স্ত্রী পূজা এবং ৭ বছরের ছেলে ও ৯ বছর বয়সি মেয়েকে নিয়ে থাকতেন মুম্বইয়ের মালাড ওয়েস্টে। রাজেশের বন্ধু ছিলেন মনসুরি। দু’জনেই উত্তরপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বই এসেছিলেন রুটিরুজির টানে।
কাজের খোঁজে গ্রাম থেকে মুম্বই এসে রাজেশের বাড়িতেই আশ্রয় নেন মনসুরি। সেখানেই পূজার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, শনিবার রাতে পূজা ও মনসুরি মিলে খুন করেন রাজেশকে। এর পর রাজেশের দেহ চাদরে মুড়ে স্কুটিতে বসান তাঁরা। নিথর দেহের সামনে বসে স্কুটি চালান মনসুরি। মৃতদেহের পিছনে বসেছিলেন পূজা। যেন, অসুস্থ রাজেশকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছেন, এভাবে পুরো বিষয়টি সাজান তাঁরা। এভাবে আধঘণ্টা যাওয়ার পর ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় পেয়ে যান পূজা ও মনসুরি। মৃতদেহ ফেলে দিয়ে মালওয়ানি থানায় রাজেশের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানান।
advertisement
আরও পড়ুন : শিকড় থেকে নিংড়ে ধুয়েমুছে সাফ ইউরিক অ্যাসিড! অল্প খরচে কিডনি ভাল রাখতে এভাবে খান পানপাতা
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তদন্ত শুরু করে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতেই পুলিশের সামনে ধরা পড়ে পূজা ও তাঁর প্রেমিক মনসুরির অপরাধ। এর পর জেরায় অপরাধ স্বীকার করেন তাঁরা। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে রক্তের দাগ-সহ খুনের অন্যান্য তথ্যপ্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় রাজেশ-পূজার দুই সন্তান চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।