গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রোহিতকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। কীভাবে রোহিত এই পরিকল্পনা করেছিল এবং শিশুদের পণবন্দি করার উদ্দেশ্য কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া শিশুদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তারা নিরাপদে পরিবারের কাছে ফিরেছে।
advertisement
অভিযোগ অনুযায়ী অভিযুক্ত রোহিত আর্য চারদিনে একশোরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে নিজের স্টুডিয়োতে ডেকেছিল। বৃহস্পতিবার সকালেই ১৭ জন অডিশনে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু তারা পরে বাড়ি না ফেরায় অভিভাবকরা পুলিশে অভিযোগ করে। পুলিশ দুপুর ১.৪৫ মিনিটে তথ্য পেয়ে দ্রুত স্টুডিয়োতে পৌঁছায় এবং শুরুতে অভিযুক্তের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় পুলিশ বলপ্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে তিনি স্টুডিওর গ্রাউন্ড এবং প্রথম তলার কক্ষে শিশুদের আটকে রেখেছিলেন, এবং সঙ্গে আরও দুজন মানষ। পুলিশ বাথরুম থেকে স্টুডিয়োতে প্রবেশ করে এবং পরিস্থিতি দ্রুত ভয়ঙ্কর ওঠে। অভিযুক্ত আর্য বন্দি শিশুদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ওপর গুলি চালান। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে আর্য আহত হন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এয়ার গান ও কিছু রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায়।
সব শিশুকে নিরাপদে উদ্ধার করে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অভিযুক্তের পরিচয় নগপুরের স্কুল শিক্ষক রোহিত আর্য হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশ জানায় তিনি সাধারণভাবে ‘মানসিকভাবে স্থিতিশীল’ বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি তারা জানায় যে আর্য একটি ভিডিও রেকর্ড করে দাবি করেছিলেন তিনি কিছু নৈতিক ও নীতিগত প্রশ্নের উত্তর জানতে চান এবং কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে চান।
ভিডিওতে আর্য বলেছেন, ‘আমি রোহিত আর্য; আত্মহত্যা করার বদলে আমি পরিকল্পনা করেছি’—তিনি দাবি করেছেন যে তার দাবি খুব সীমিত, মূল্য-আর্থিক দাবি না; বরং নৈতিক ও নীতিগত প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। যদি তার সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কথা বলানো না হয়, তিনি সব জিনিস আগুনে শিশুদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছিলেন। ঘটনার পর এয়ার গান ও রাসায়নিকের নমুনা—ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
