মুম্বই: ভয়াবহ ঘটনা মহারাষ্ট্রে। গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। প্রাণ হারালেন ২২ জন। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায় গণেশ বিসর্জনের সময় ইতিমধ্যেই একাধিক দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি এই ঘটনায় অন্তত ২২ মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েক জন। পুলিশ সূত্রে এমনই খবর।
advertisement
পুনে জেলার চাকান এলাকায় পৃথক ঘটনায় চার জন ভেসে যান। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানকার ওয়াকি খুর্দে ভামা নদীতে দু’জন এবং শেল পিম্পলগাঁওয়ে আরও এক জন ভেসে গিয়েছিলেন। এছাড়াও প্রতিমা বিসর্জন করতে যাওয়ার সময় পুনে গ্রামীণ এলাকার বীরওয়াড়িতে আরও এক জন কুয়োয় পড়ে যান। সূত্রের খবর, সেখানে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে নানদেড় জেলার গাডেগাঁও এলাকায় একটি নদীতে তিনজন ভেসে যান। তাঁদের মধ্যে একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে বাকি দুইজনের সন্ধানে এখনও তল্লাশি চলছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে৷
এদিন বাণিজ্য নগরী মুম্বই-মহারাষ্ট্রে ধুমধাম করে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে উৎসবের সময়ে। তবে এবার সেই উৎসবের মাঝেই ফের একবার বিপত্তি ঘটল বিসর্জনে।সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি পুণেতে। চাকন এলাকার বিভিন্ন স্থানে আলাদা ঘটনায় চারজন ভেসে গিয়েছেন। ওয়াকি খুরদে ভামা নদীতে দুই ব্যক্তি ভেসে যান।
প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে দু’জনের। বাকিদের খোঁজ চলছে জোরকদমে। অন্যদিকে, নান্দেড জেলার গাদেগাঁও এলাকায় নিরঞ্জনের সময় নদীতে ভেসে যান তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুই জন। একইসঙ্গে নাসিকের সিন্নর এলাকায় চারজন ভেসে যাওয়ার খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার করেছেন আধিকারিকরা। এদিকে, জলগাঁও জেলায়ও পৃথক ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে খবর। একই রকম দুর্ঘটনা ঘটেছে নাসিক, জওগাঁও, থানে এবং অমরাবতী এলাকাতেও। নাসিকে জলে ডুবে গিয়েছিলেন চার জন। তাঁদের মধ্যে সিন্নার থেকে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।