তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি দিয়েছে ২ দিনের ঝড়-বৃষ্টি। তবে এই ঝড় বিমানযাত্রীদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখে ফেলল। এদিন মুম্বই-দুর্গাপুর বিমানের যাত্রীরা মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেন। আতঙ্কে বিমানের ভিতরে চিত্কার জুড়ে দেন অনেক যাত্রী। তবে বড় কোনও বিপদ হয়নি। বিমানটি নিরাপদেই শেষ পর্যন্ত অন্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন- লেকটাউন থেকে চুরি গেল বাইক, তারপর পুলিশ ধরল বাইক পাচার চক্রের ব্যক্তি
advertisement
এয়ার টার্বুল্যান্সের কারণে মাঝ আকাশে এমন ঝাঁকুনি হয়েছিল বলে বলছে বিশেষজ্ঞমহল। সন্ধে সাতটা ১০ নাগাদ বিমানটি নিরাপদে অন্ডাল বিমানবন্দরে নামে। এক্ষেত্রে পাইলটের দক্ষতার প্রশংসা করছেন অনেকেই। এমন ঝড়়-বৃষ্টিতে এয়ার টার্বুল্যান্স স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে অনেক সময় এমনটা হলে বড়সড় বিপদও ঘটতে পারে। এদিন অবশ্য তেমন কিছু বড় বিপদ হয়নি।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের কারও আঘাতই গুরুতর নয়। তবে অনেক যাত্রীই আতঙ্কে ছিলেন। মাঝ আকাশে এমন ঝাঁকুনি আগে কেউই অনুভব করেননি। ফলে ভয়ঙ্কর এই ঘটনা তাঁদের আতঙ্কিত করে তুলেছিল। অনেকেই বড় বিপদের আশঙ্কা করেছিলেন।
শনিবারও প্রায় একইরকম ঘটনা ঘটেছিল দিল্লি-কলকাতাগামী বিমানে। পাইলট জানিয়েছিলেন, বৃষ্টির মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করলে বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শেষ পর্যন্ত বেশ কিছুক্ষণ আকাশে পাক খেয়ে পাইলট গুয়াহাটি বিমানবন্দরের দিকে রওনা দেন। কারণ বিমানে জ্বালানিও শেষ হয়ে আসছিল। পরে যাত্রীদের গুয়াহাটি থেকে কলকাতা নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন- অন্ধকারে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি দুই যুবকের! হাতেনাতে ধরে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার পুলিশের
পর পর দুদিন বিমান যাত্রীদের একইরকম অভিজ্ঞতা হল। দুদিনই বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন বিমান যাত্রীরা।