বছর আঠেরোর ওই নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়ি মহারাষ্ট্রের আকোলায়৷ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বিদর্ভ এলাকার চারনি রোডের একটি সরকারি গার্লস হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত সে৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেয়েটির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না হস্টেল কর্তৃপক্ষ৷ অবশেষে এদিন সন্ধে নাগাদ তার খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি৷ দেখা যায়, হস্টেলের মূল প্রবেশদ্বারের খাতাতেও তার নাম নেই৷ অর্থাৎ, এর মধ্যে সে হস্টেলের বাইরে বেরয়নি৷
advertisement
এরপরে মেয়েটির ঘরে যাওয়া হয়৷ জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই বীভৎস দৃশ্য৷ দেখা যায়, গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়েটির নিথর দেহ৷
এরপরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খোঁজ খবর শুরু হলে দেখা যায়, ওই দিন ভোর ৪টে ৫৫ নাগাদ কাপড়ের একটি বান্ডিল নিয়ে হস্টেলের সিকিওরিটি গার্ড প্রকাশ কানোজিয়া হস্টেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন৷ প্রসঙ্গত, এই কানোজিয়া সিকিওরিটি গার্ড হওয়ার পাশাপাশি হস্টেলের লন্ড্রিরম্যানের কাজও করতেন৷
এরপরে খোঁজ খবর নিতেই রেললাইনের ধারে কানিজিয়ার দেহ উদ্ধারের খবর পুলিশ৷ কানোজিয়ার ফোন হস্টেলেই রাখা ছিল।
জানা গিয়েছে, পাঁচ তলা এই হস্টেলের পাঁচতলায় একাই একটি ঘরে থাকত নির্যাতিতা৷ তার বন্ধুরা তাকে নীচের ঘরে থাকতে বললেও নাকি সে রাজি হয়নি৷ সোমবার রাত সাড়ে ১১টার সময় তার সঙ্গে শেষ বার কথা হয় তার এক হস্টেল মেটের৷ মঙ্গলবার নির্যাতিতা ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের সময় তাঁর ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল৷
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে কানোজিয়া৷ তারপরে ফোন হস্টেলে ফেলে রেখে গিয়ে রেল ট্র্যাকে গিয়ে আত্মঘাতী হয়৷
অভিযুক্ত সিকিওরিটি গার্ড উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা। কিন্তু, তাঁর বাবাও কোলাবায় কর্মরত। এর আগে এই গার্লস হস্টেলেই কাজ করতেন অভিযুক্ত গার্ডের বাবা। কানোজিয়ার ভাইও এই হস্টেলেই কাজ করেন। গত একমাস ধরে সে ছুটিতে রয়েছে।