মুম্বই: মুম্বই পুলিশকে হুমকি মেসেজ পাঠানোর অভিযোগে অবশেষে ধৃত বছর ৫০- এর এক ব্যক্তি। অসংখ্য বিস্ফোরণ ঘটানোর হুমকি দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। টার্গেট ছিল ১ কোটি মানুষকে মেরে ফেলা। গণপতি উৎসবের মধ্যে বাণিজ্যনগরীতে এই ভয়াবহ হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত মুম্বই পুলিশে জালে অভিযুক্ত। অভিযুক্তের নাম অশ্বিনী কুমার (৫১)। তিনি বিহারের পটনার পাটলিপুত্র এলাকার বাসিন্দা হলেও গত পাঁচ বছর ধরে নয়ডার সেক্টর ৭৯-এ বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করছিলেন।
advertisement
অশ্বিনী কুমার পেশায় জ্যোতিষী ও বাস্তু পরামর্শদাতা। তাঁর বাবা সুরেশ কুমার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা দফতরের কর্মী এবং মা প্রভাবতী গৃহিণী। অশ্বিনী স্নাতকোত্তর হলেও ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং আর্থিক বিবাদের ইতিহাস রয়েছে। ২০২৩ সালে বিহারের ফুলওয়ারি শরিফ থানায় তাঁর বন্ধু ফিরোজ একটি মামলা দায়ের করেছিলেন, যার ফলে তাঁকে তিন মাস জেলে কাটাতে হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অশ্বিনী নাকি পুরনো শত্রু ফিরোজকে ফাঁসাতেই তাঁর নামে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠান। সেই বার্তায় দাবি করা হয়, মুম্বই জুড়ে ৩৪টি মানব বোমা রয়েছে, ১৪ জন পাকিস্তানি জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছে। হামলায় ব্যবহার হবে প্রায় ৪০০ কেজি আরডিএক্স। সংগঠনের নাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘লস্কর-এ-জিহাদি’। বার্তায় হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করার হুমকিও দেওয়া হয়।
বার্তাটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম এবং ট্রাফিক পুলিশ উভয়ের কাছেই পৌঁছায়। মুহূর্তেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ি করা হয় এবং গোটা শহরে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একটি মুদি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছিল। প্রথমে নয়ডার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পরে মুম্বই পুলিশের হাতে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অশ্বিনীকুমার পেশায় একজন জ্যোতিষী এবং ব্যবসায়ী। স্ত্রী’র সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে তাঁর।