ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কানপুর নিকটস্থ মর্দনপুর গ্রামের রাজেশ কুমার যাদব পেশায় মজদুর। গত সোমবার থেকেই মুলায়ম সিংয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রিয় নেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সারা রাত প্রিয় ‘নেতাজী’র শোকে কেঁদেছেন রাজেশ। বাড়ির লোকেদের কাছে বলছিলেন, ‘নেতাজিই যখন বেঁচে নেই, আমিই বা বেঁচে থেকে কী করব?’ পরিবারের সকলে তাঁকে সামলানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে রাতের ঘুম উড়ে গেল অনুব্রতর, এক পদক্ষেপেই ফের বাজিমাত CBI-এর!
এরপর মঙ্গলবার মুলায়ম সিং যাদবের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরেই রাস্তায় বেরিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন তিনি। স্থানীয় লোকেরা তাকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর গ্রামের কাছেই থাকা পান্ডু নদীতে গিয়ে ঝাঁপ দেন রাজেশ। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পূর্ব মেদিনীপুরে চরম বিড়ম্বনার মুখে কুণাল ঘোষ, দলীয় অনুষ্ঠানেই বেনজির কাণ্ড
রাজেশ কুমারের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী রামরতি তাদের ছোট ছোট চারটি মেয়ে রয়েছে। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে মানুষের মৃত্যুতে তাঁদের জীবনেও নেমে এসেছে বড় বিপদের খাঁড়া।